
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।’ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ পরিবেশ’ থিম নিয়ে ‘এনভায়রনমেন্টাল সলিউশনস ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট : টুওয়ার্ডস ডেভেলপড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এরই মধ্যে আমাদের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে পড়ছে। বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। প্রকৃতপক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন’ অর্জনের জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও সামগ্রিক বৈশ্বিক উদ্যোগ; যা উন্নয়নের প্রতিটি খাত-উপখাতকে যেমন সম্পৃক্ত করবে, তেমনি বিস্তৃত হবে বিশ্বজুড়ে। আমাদের জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির পথে অগ্রসর হচ্ছে আমাদের কৃষি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সামগ্রিকভাবে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের কৃষি তথা সার্বিক জীবনযাত্রার ওপর। আমাদের কৃষির সাথেও পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ুর সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।’
উন্নয়নের নানা সুচকে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কৃষিক্ষেত্রে ফসলের নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবন করে চলছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। এর ফলে খাদ্য ঘাটতির এই দেশটি এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।’
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। পরিবেশ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি দুই দিন ব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। সেমিনারের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ও সেমিনার আয়োজন কমিটির প্রেসিডেন্ট ড. মো. আফতাব আলী শেখ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, চীন, সুইডেনসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৮:৪৯ ২৬৮ বার পঠিত