
শিশুবান্ধব শহর গড়তে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ‘আমরাও বলতে চাই’ শীর্ষক এ সংলাপ হয়। সেখানে কিশোর-কিশোরীদের নানা অভিযোগ ও চাহিদার কথা শোনেন মেয়র।
সংলাপে অংশ নেয় কড়াইল বস্তি থেকে আসা কিশোরী শারমিন আক্তার। মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে সে বলে, মেয়েরা কেন মাঠে গিয়ে খেলতে পারবে না? আমরা যেন মাঠে গিয়ে খেলতে পারি তার ব্যবস্থা করা হোক।
জবাবে মেয়র বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো খেলার মাঠ-পার্ক করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পার্ক-মাঠের কাজ চলছে। এসব পার্কে নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরীদের জন্য আলাদা কর্নার করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
কিশোর মামুন হাসান এসেছিল মিরপুর থেকে। সে অভিযোগ করে, মিরপুরের হারুন মোল্লা মাঠে সিনিয়ররা শিশু-কিশোরদের খেলতে দেন না। খেললে চাঁদা চান অথবা খেলার সরঞ্জাম কেড়ে নেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বিষয়টি নোট করতে বলেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন।
খেলার মাঠে মেলার আয়োজন করায় শিশুরা খেলতে পারে না, এ অভিযোগ করে আরাফ নামের এক কিশোর। এর জবাবে মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোনো মাঠে কোনো ধরনের মেলার অনুমোদন দেয়া হবে না। এসব মাঠে বাচ্চারা খেলবে।
মেয়র আরো বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় ১৭টি পার্ক-মাঠে এলইডি লাইট লাগানো হচ্ছে, যেন সারা দিন অফিস-কাজ শেষে রাতে সবাই খেলতে পারে। এছাড়া, নারীদের জন্য সময় নির্ধারণ বা কর্নার করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগামী মার্চে বনানীর পার্কে শিশু ও নারীরা খেলতে পারবেন। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পানি যেন না জমে থাকে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
সংলাপে ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার কিশোর-কিশোরীরা অংশ নেয়। সংলাপের আয়োজন করে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ। সংলাপ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
এ সময় ডিএনসিসি সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, ইউনিসেফের প্রতিনিধি শামিমা সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৯:১৩ ১৬৬ বার পঠিত