হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ ও ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ নামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার (বোয়িং ৭৮৭-৯) এর যাত্রা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন টার্মিনালের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
শাহজালালে নতুন টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে।
টার্মিনাল নির্মিত হওয়ার পর শাহজালাল হবে এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমানন্দর।
নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুটের। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। টার্মিনালটি এমন একটি মেকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে। নতুন টার্মিনাল হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
মহিবুল হক বলেন, পুরো প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’ ও ‘সোনার তরী’র যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী দুটি ড্রিমলাইনারের উদ্বোধন করেন। বিমান দুটি ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের হিথ্রো ও ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে চলাচল করবে।
গত ২১ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘সোনার তরী’ এবং গত ২৪ ডিসেম্বর ‘অচিন পাখি’ অবতরণ করে। উড়োজাহাজ দুটিকে ওয়াটার স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
এ দুটি উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৭:৫৪ ১৩০ বার পঠিত
