
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতি গঠনে কমরেড মণি সিংহের মতো সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি কমরেড মণি সিংহের ঊনত্রিশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের’ অন্যতম উপদেষ্টা, উপমহাদেশের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের পুরোধা এবং বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মণি সিংহের ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর (মণি সিংহ) স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি (মণি সিংহ) ত্যাগের পরাকাষ্ঠা ও রাজনৈতিক সততার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, বিপ্লবী ও প্রগতিশীল গণআন্দোলনের প্রবাদতুল্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন, স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামসহ সারাজীবন শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, কমরেড মণি সিংহ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি কমিউনিষ্ট পার্টি, ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের সংগঠিত করে যৌথ গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে প্রত্যক্ষযুদ্ধে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯০১ সালে জন্মগ্রহণকারী মণি সিংহ ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্ল¬বের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯২৫ সালে মার্কসবাদ-লেলিনবাদকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজীবন সংগ্রামী মহান এই বিপ¬বী জননেতার জীবন ও কর্ম যুগ যুগ ধরে তরুণ বিপ্লবীদের সামনে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হবে থাকবে বলেও আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কমরেড মণি সিংহের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি (মণি সিংহ) স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫০:০৫ ১৫৯ বার পঠিত