পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী আজ
বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২০



---

কবি জসীমউদদীন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, মাটি ও মানুষের কবি। তার কবিতায়, গানে ও নাটকে কৃষিনির্ভর ও নদীমাতৃক বাংলার গাঁয়ের মানুষের কথা ফুটে উঠেছে। জসীমউদদীনের একেকটি কবিতা যেন বাংলার একেকটি গ্রাম।

কবির পুরো নাম মোহাম্মাদ জসীমউদদীন মোল্লা। বাংলা সাহিত্যে তিনি পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত। রবীন্দ্রযুগের কবি হয়েও রবীন্দ্র প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লী জীবনকে অবলম্বন করে জসীমউদদীন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভুবন।

তার সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। তার লেখা ‘কবর’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দুটি রচনা। এ দুটি রচনা পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।

পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী আজ।বিখ্যাত এ কবি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২১ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বিএ এবং ১৯৩১ সালে এমএ শেষ করেন।

পাঠ চুকিয়ে কবি ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন। এর পর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর পদে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এখানেই কর্মরত ছিলেন।

পল্লীকবি জসীমউদদীন শুধু একজন কবিই নন, তিনি একজন গীতিকার এবং একজন গান সংগ্রাহকও। জসীমউদদীন ১০ হাজারেরও বেশি লোকসংগীত সংগ্রহ করেন। তার সংকলিত এসব লোকসংগীতের বিশাল একটি অংশ জারিগান ও মুর্শিদা গানে স্থান পেয়েছে।

জসীমউদদীন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক গান রচনা করেছেন। বিখ্যাত লোকসংগীতের গায়ক আব্বাসউদ্দীন, তার সহযোগিতায় কিছু বিশেষত ভাটিয়ালি ধারার অবিস্মরণীয় লোকগীতি নির্মাণ করেছেন।

জসীমউদদীন রেডিওর জন্যও আধুনিক গান লিখেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তিনি বহু দেশাত্মবোধক গান লিখেন। আমার হার কালা করলাম রে, নদীর কুল নাই কিনার নাই, আমায় ভাসাইলিরে ইত্যাদি জনপ্রিয় গান জসীমউদদীনকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে।

১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। এ ছাড়া রয়েছে একুশে পদক ১৯৭৬ ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৮ (মরণোত্তর)।

১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ বাংলার এ পল্লীকবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কবির কবর কবিতা অনুযায়ী ডালিম গাছের তলায় কবিকে সমাহিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪২:৩৪   ১৭২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ