
আড়াইহাজারে গোপালদী বাজার ও গাজীপুরা সংযোগ সেতুর অধিকাংশ দখলে নিয়ে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রতিনিয়ত যানজটসহ পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার লোক চলাচল করে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সেতুর ওপর অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকার চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ এই স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরা, বিশনন্দী, কড়ইতলা, বালুয়াকান্দি, চৈতনকান্দা, দয়াকান্দাসহ প্রতিদিন আশপাশের দশ হাজার লোক চলাচল করছেন। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী গোপালদী বাজার, গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজ, সদাসদি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালদী পৌরসভা ও গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় এই সেতুর দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছেন। সেতুর ওপর বসানো অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কারণে বিপুল সংখ্যক লোককে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেতুর ওপর অধিকাংশই অটোরিকশার দখলে থাকে।
এ ব্যাপারে গোপালদী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, ‘স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সেতুর ওপর অবৈধ অটোস্ট্যান্ড বসিয়েছে। তারা এখান থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে। সেতুর অধিকাংশই অটোরিকশার দখলে রয়েছে। এতে লোকজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে অটোরিকশা চালকরা জানায়, অটোরিকশার জন্য কোনও স্ট্যান্ড না থাকায় তারা সেতুর কিছু অংশ স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। স্থান নির্ধারণ করে দিলে স্ট্যান্ড এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
গোপালদী পৌরসভার মেয়র এমএ হালিম সিকদার বলেন, ‘সেতু দখল করে বসানো অটোরিকশা স্ট্যান্ডটি সম্পূর্ণ অবৈধ। পৌরসভার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি বিশ্বন্দী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পড়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্বনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজের ওপর থেকে অটো স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৫:৩৯ ২০৮ বার পঠিত