
অবশেষে বিসিবি-পিসিবি বরফ গলল। পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুবাইয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সভায় সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। খোদ আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে সফরের সূচিটা হয়েছে বেশ অদ্ভুত। সেটি অবলীলায় স্বীকার করেছে বিসিবি। তিন মাসে তিনবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় জানুয়ারিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেখানে যাবে বাংলাদেশ দল। সবকটি ম্যাচ হবে লাহোরে।
দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারিতে একটি টেস্ট খেলতে দেশটিতে যাবেন টাইগাররা। ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। আর তৃতীয় ধাপে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে এবং একটি টেস্ট খেলতে সেখানে যাবেন তারা। ম্যাচ দুটি গড়াবে করাচিতে।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে দুই ম্যাচ টেস্ট এবং তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরের কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। ফলে বেঁকে বসে পিসিবি। পরে এ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে তাদের কথা চালাচালি হয়। অবশেষে দুই বোর্ডের সমঝোতায় সফর চূড়ান্ত হয়।
এফটিপিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থাকলেও চূড়ান্ত সূচিতে একটি ওয়ানডে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশ্নটা উঠেছে এতেই। এমন অস্বাভাবিক সূচিতে কেন রাজি হলো বিসিবি। আইসিসি সদর দফতরে দুই বোর্ডপ্রধানের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সাধারণত দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পর একটা বিরতি থাকে। সেখানে দুই টেস্টের মাঝে লম্বা বিরতি রয়েছে। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্ট হবে প্রায় দেড় মাস পর। স্বাভাবিক সূচি এভাবে হয় না। আমরাও প্রায় দেড় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরব। মাঝে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছাড়া কিছু নেই। ওই সময় ওয়ার্মআপের দরকার আছে। তাই ওয়ানডেটি রাখা। এ জন্য ওরাই অনুরোধ করেছিল। সবকিছু ভেবেচিন্তে আমরা তা মেনে নিয়েছি। আইসিসিও এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
টেস্টের ওয়ার্মআপের জন্য ওয়ানডে আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ওয়ানডে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি পুরোটাই অর্থসংক্রান্ত। সফরটা ভাগে ভাগে হবে। তিনবার বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেবে পাকিস্তান। এতে পিসিবির আর্থিক ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। সেটি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ওয়ানডেটি আয়োজন করছে তারা।
বাংলাদেশ তিন ভাগে পাকিস্তান যাবে। সফরের কোনোটিই ১০ দিনের বেশি হবে না। ঘন ঘন ভ্রমণ আর সংস্করণ বদলে ক্রিকেটাররা মনোযোগ হারাতে পারে বলে কথা উঠছে।
বিসিবি সিইও বলেন, সফরটা হচ্ছে বিশেষ প্রেক্ষাপটে। তাই সূচিটা জটিল মনে হচ্ছে না। আমরা মোটেও সেটি মনে করছি না। অবশ্য এভাবে কখনও আমাদের সূচি হয়নি। আমরা বারবার সংক্ষিপ্ত সময় পাকিস্তানে সফর করার কথা বলেছি। আমরা সঠিক সময়ের কথা বলেছি। এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। তাই রাজি হয়েছি। সরকারও আমাদের সেভাবে ছাড়পত্র দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১০:০৫ ১৮১ বার পঠিত