
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ,২০২০নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুস শহীদ, মোঃ আফছারুল আমীন, মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার,আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০১০-১১ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১১-১২ এর অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ ৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫ ও ১৬ মোট ৮(আট) টি অডিট আপত্তির সাথে জড়িত মোট টাকার পরিমান ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮শত ৬৭ টাকার অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয় এবং কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বরাদ্দের অতিরিক্ত চুক্তি সম্পাদন ও কার্যাদেশ প্রদান করে সরকারের ৪৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৫শত ২৭ টাকার আর্থিক দায় সৃষ্টি, ৫টি কালভার্ট নির্মাণ না করা সত্ত্বেও কালভার্ট নির্মাণের ৪২ লক্ষ ১৪ হাজার ১ শত ০২ টাকা ব্যয় দেখিয়ে হিসাবভুক্ত, জামানতের অর্থের ওপর ব্যাংক হতে প্রাপ্ত সুদ বাবদ ১৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫ শত ৭৮ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি এবং পৌরসভার আওতাধীন সড়ক উন্নয়নে এখতিয়ার বহির্ভূত অনিয়মিত ব্যয় ৪৮ লক্ষ ২২ হাজার ৯ শত ৫৩ টাকা মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর আপত্তিগুলো যথাযথ প্রমাণক উত্থাপন করতে সক্ষম হওয়ায় এবং ব্যয়িত অর্থের যৌক্তিকতা প্রদর্শণ করতে সক্ষম হওয়ায় কমিটি আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।
এছাড়াও বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে যে কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তা না করে ভিন্ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের অর্থ খরচে অনিয়মিত ব্যয় ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, অনুমোদিত ড্রয়িং এর কোন পরিবর্তন না হওয়া সত্ত্বেও আরসিসি ব্রিজের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারকে চুক্তিবদ্ধ পরিমানের অধিক পরিশোধ করায় ১৫ লক্ষ ০৩ হাজার ১শত ২৮ টাকা ক্ষতি, এইচবিবি রাস্তাকে বিটুমিনাস কার্পেটিং রাস্তায় উন্নীতকরণ কাজে বিদ্যমান রাস্তার বালুর স্তর থাকা সত্ত্বেও পুনরায় স্যান্ড ফিলিং দেখিয়ে ৩৩ লক্ষ ০৭ হাজার ২শত ৩০ টাকা আর্থিক ক্ষতি এবং বরাদ্দ মঞ্জুরী ব্যতীত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দায় দেনা পরবর্তি অর্থবছরে পরিশোধ করায় ১ কোটি ০৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩ শত ৪৯ টাকা অনিয়মিত ব্যয় মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে আপত্তির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আপত্তিকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করেছে মর্মে প্রামাণ্য দলিল উত্থাপন করার কমিটি আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।
বৈঠকে সরকারী অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সম্পাদিত কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। এছাড়া প্রকল্প প্রণয়নের পর কার্যাদেশ প্রদানের সময় ২৫%-৩০% কমে ঠিকাদারদের কাজ গ্রহণের বিষয়টিকে প্রকল্প প্রণয়নের দূর্বলতা অথবা ফাঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কমিটি প্রকল্প প্রণয়ণের সময় যথাযথভাবে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করার সুপারিশ করে ।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, অডিট অফিস এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৯:৪২ ১৫৩ বার পঠিত