ওয়েম্বলীতে রোববার লীগ কাপের ফাইনালে আর্সেনালকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে গার্দিওলার অধীনে প্রথম শিরোপা লাভের কৃতিত্ব দেখিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটির পক্ষে গোল তিনটি করেছেন দলের তিন অভিজ্ঞ তারকা সার্জিও আগুয়েরো, ভিনসেন্ট কোম্পানী ও ডেভিড সিলভা।
এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত লীগ কাপের শিরোপ জয় করলো সিটি। আটটি শিরোপা জিতে এই তালিকায় এগিয়ে আছে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে থাকা সিটিজেনদের জন্য এটি ছিল এবারের মৌসুমের আরেকটি মাইলফলক। যদিও সোমবার এফএ কাপে লীগ ওয়ানের দল উইগানের কাছে পরাজিত হয়ে ঐতিহাসিক কোয়াড্রাপল জয়ের সুযোগ থেকে ছিটকে গেছে গার্দিওলার শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে সিটি বস বলেছেন, ‘এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা সবাই দারুন খুশী। ম্যানচেস্টার সিটি ও এর সমর্থকদের অনেক বড় একটি অভিনন্দন। এই শিরোপাটি আমার জন্য নয়, এটি পুরোটাই ম্যানচেস্টার সিটির প্রাপ্য। ম্যাচের প্রথমার্ধ মোটেই ভাল ছিল না। এখানে অনেক ভুল হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক বেশী সাহস ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে খেলেছি, আমরা আজ সত্যিকার অর্থেই অসাধারন ফুটবল খেলেছি।’
লন্ডনের শীতল আবহাওয়ায় আকাশী নীল জার্সিতে সিটি ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। সম্প্রতী ওয়েম্বলীকে নিজেদের দ্বিতীয় হোম হিসেবে বিবেচনা করা আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটি যে সহজ হবে না তা শুরু থেকেই অনুমেয় ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন অনেকটাই নিজেদের করে নেয় গানার্সরা। নতুন চুক্তিভূক্ত পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের শট সিটি গোলরক্ষক ক্লডিও ব্র্যাভো কোনরকমে রুখে দেন। সিটির প্রথম গোলটি ছিল একেবারেই অনাকাঙ্খিত। গোলরক্ষক ব্র্যাভোর লম্বা পাস থেকে সার্জিও আগুয়েরো বলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে ঠান্ডা মাথায় আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে প্রবেশ করালে ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। আর্জেন্টাইন এই তারকা স্ট্রাইকার সব ধরনের প্রতিযোগিতায় আর্সেনালের বিপক্ষে গত পাঁচটি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। সিটির জার্সি গায়ে এটি ছিল তার ১৯৯তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা উজ্জীবিত সিটিকে মাঠে দেখা গেছে। ৫৮ মিনিটে ইকে গুনডোগানের শট বারে লেগে ফেরত আসলে অধিনায়ক কোম্পানী ফিরতি শটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। সাত মিনিট পরে ডানিলোর সহায়তায় সিলভা দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করলে সিটির জয় সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক বস গার্দিওলা গোলবারে প্রথম পছন্দ এডারসনের পরিবর্তে কালকের ফাইনালে ব্র্যাভোর ওপরই আস্থা রেখেছিলেন। এবারের প্রতিযোগিতায় প্রতিটি রাউন্ডেই ব্র্যাভো খেলেছেন। একইভাবে গানার্স বস আর্সেন ওয়েঙ্গার পিটার চেচকে বেঞ্চে রেখে মূল একাদশের জন্য ওসপিনাকেই বেছে নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৩:৫৭ ৪৪০ বার পঠিত