জলবায়ু পরিবর্তন খাতে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশী কোন দাতা সংস্থা কিংবা রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে অর্থ-সহায়তা দেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। রবিবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারী দলের সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, জালবায়ু পরিবর্তন কল্যাণ ফান্ডে সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে এবছর একশো কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। তবে, বিদেশ থেকে কোন অর্থ পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন কল্যাণ তহবিল থেকে ২০৯ কোটি ১৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৭৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে গোপালগঞ্জ জেলায় কোটালিপাড়া পৌরসভা কর্তৃক ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বিশে^র সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ (নোনাপানির) বনাঞ্চল সুন্দরবনে গাছের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, সুন্দরবনে গাছকাটা বন্ধ থাকায় সুন্দরী, গেওয়া, গরানসহ অন্যন্য গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ কাটা বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এই বনের উদ্ভিতের মধ্যে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়, ধুন্দল, বাইন, খলসি, বলা, হেতাল হরগোজা, টাইগার ফার্ণ, গোলপাতা উল্লেখযোগ্য।
সরকারী দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা, কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, মারজাত বাওড়, গুলশান-বারিধারা লেক, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতালক্ষ্যা নদী এবং দুই পাড়ের ৫০০ মিটার এলাকাসহ জাফলং-ডাউকি নদীকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। এই এলাকাগুলো বন্যপ্রাণি, জলজ প্রাণি এবং স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আবাসস্থল বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৫:০৯ ৩৮৪ বার পঠিত