
চলমান বিভিন্ন প্রজেক্ট, বিশেষ করে নির্বাচনী আবর্জনা থেকে তৈরি প্রোডাক্টের গল্প শুনতে মন্ত্রণালয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে দেখা করলো বিদ্যানন্দের এক টাকার আহার। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশনের (সিআর আই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি।
আজ শুক্রবার নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে করা এক পোস্টে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানায় এক টাকার আহার। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নাহিম রাজ্জাকের সঙ্গে একটি ছবি পোস্টে তারা লেখে, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ডেকেছিলো, চলমান বিভিন্ন প্রজেক্টের গল্প শুনতে। বিশেষ করে নির্বাচনী আবর্জনা থেকে তৈরি প্রোডাক্টে তাঁদের প্রচণ্ড আগ্রহ। মাননীয় মন্ত্রী শুনলেন কিভাবে পোস্টার খাতায় রূপান্তর হলো, কিভাবে ব্যাগ হলো ব্যানার থেকে।
কিভাবে প্রশাসন আমাদের কার্যক্রমে সংযুক্ত হতে পারে কিংবা কি ধরণের সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছি এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করে বিদ্যানন্দের এক টাকার আহার। হতদরিদ্র মানুষদের জন্য এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশনের (সিআর আই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এ সময় এই ধরনের কাজে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
১২ বছরের নিচে ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে হত-দরিদ্র মানুষদের জন্য ১ টাকার বিনিময়ে খাবারের ব্যবস্থা করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ঢাকাসহ ৮টি জেলায় রুটিন মাফিক এই খাবার বিতরণ করা হয়। খাবারের মেন্যুতে অধিকাংশ সময় ডিম ভাত বা সবজি ভাত থাকলেও মাঝে মধ্যেই মাংস পোলাওয়ের মতো খাবারও জুটে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ভাগ্যে।
বিদ্যানন্দ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এক টাকার আহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ৪০ জন কর্মকর্তা এবং কয়েক শ স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বিদ্যা-নন্দ বিশ্বাস করেন, এই পৃথিবীতে কোন না কোন একদিন প্রতিটি শিশুর খাবারের নিশ্চয়তা বিধান হবে। খাবারের যন্ত্রণা থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের মুক্তি দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
এক টাকার আহারের সংগঠকদের সঙ্গে দেখা করে দারুন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাদওয়ান মুজিব। এ সময় তিনি তরুণদের এই ধরনের কাজে উদ্ধুদ্ব হওয়ার আহ্বান জানান।
রাদওয়ান মুজিবের তত্ত্বাবধানে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে এই ধরনের উদ্যোক্তাদের নানা ভাবে সহযোগিতা করে আসছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও তার প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা। সিআরআই ও ইয়াং বাংলার যৌথ তত্বাবধানে গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনকে প্রদান করা হয় জয় বাংলা ইউথ এওয়ার্ড। এই অ্যাওয়ার্ড প্রদানের পাশাপাশি তরুণদের দেশ গঠনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে সিআরআই ও ইয়াং বাংলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৫:০৯ ১৯৯ বার পঠিত