
বরিশালে দোকানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে বড় ভাই ও ভাড়াটিয়ার হামলায় ছোট ভাই ফরিদ হোসেন খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরীর বগুড়া রোডের শীতলা খোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী রোজী বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিনই দুইজনকে আটক করে।
নিহত ফরিদ হোসেন খান ওই এলাকার মৃত এমএ মজিদ খানের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহতের আপন বড় ভাই শাহে আল খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, পারিবারিকভাবে পাওয়া একটি স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তিন ভাই ও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে ফরিদকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, পারিবারিকভাবে ফরিদকে বাড়ির সামনের একটি স্টল দেওয়া হলে তিনি ওই স্টলের ভাড়া আদায় করছিলেন। সম্প্রতি অপর ভাই শাহআলম ওই স্টলের ভাড়া নিজে আদায় করার উদ্যোগ নেন এবং ভাড়াটিয়াকে ছোট ভাই ফরিদের কাছে ভাড়া দিতে নিষেধ করে। শনিবার সকালে ফরিদ ভাড়া আনতে গেলে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে অপর তিন ভাই এবং ভাড়াটিয়াদের ইটের আঘাত এবং কিল-ঘুষিতে ফরিদ অচেতন হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, মামলায় নিহতের তিন ভাই মো. শাহআলম খান, মো. মফিজুল ইসলাম নান্না খান ও মো. মজিবর রহমান খান এবং স্টলের ভাড়াটিয়া সোয়েব সিকদার আজাদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটকদের রবিবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০১:০৬ ১৯৬ বার পঠিত