বিগত এগারো বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে - রাষ্ট্রপতি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিগত এগারো বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে - রাষ্ট্রপতি
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০



---

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কৃষির উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত বাস্তবধর্মী বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে বিগত প্রায় এগারো বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এরমধ্যে দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে।
আগামীকাল ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এবারের মৌ মেলার প্রতিপাদ্য ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৌচাষ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতা সূচিত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। কৃষির এ অগ্রযাত্রায় দেশে উৎপাদিত মধু বিশ্ববাজারে স্থান করে নিতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মধু অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। মধুতে প্রায় ১৮১ ধরনের রাসায়নিক উপাদানসহ বিভিন্ন এনজাইম ও ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পুষ্টির যোগান দেয়।
আবদুল হামিদ বলেন, ফসলের মাঠে মৌচাষের মাধ্যমে উৎপাদিত মধু ও মোম বিক্রি করে পারিবারিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব।
এ ছাড়াও মৌমাছি মধু সংগ্রহের সময় ফুলের মধ্যে পরাগায়ন ঘটায়। এতে ফসলের ফলন শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বিভিন্ন ফল ও তেলজাতীয় ফসলের ফলন বাড়াতে মৌচাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মৌচাষের মাধ্যমে এ ধরনের ফসলের ঘাটতি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পিতভাবে মৌচাষ করে মধু আহরণের মাধ্যমে দেশে মধুর চাহিদা পূরণ করে প্রতিবছর বিদেশে মধু রপ্তানি করে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন পরিকল্পিতভাবে মৌমাছি চাষ ও মৌচাষিদের মৌচাষে উদ্বুদ্ধ করা।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় মৌ মেলা মৌচাষিদের উৎসাহ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
বাণিতে তিনি ‘জাতীয় মৌ মেলা ২০২০’ এর সাফল্য কামনা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৯:১১   ২১৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ