আড়াইহাজারে ফয়সাল নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক মুসা মিয়া। গত সোমবার বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়ার পর বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্র আর ফিরেনি। মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে ইংরেজি শিক্ষক মুসা ফয়সালকে বেধরক বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
পরে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান। সে স্থানীয় জাঙ্গালিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার পর অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে খন্ডকালিন শিক্ষক মুছা মিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
আহত শিক্ষার্থীর মাতা নার্গিস আক্তার জানান, সোমবার বাড়িতে কাজ থাকায় মধ্যাহ্ন বিরতির সময় ফয়সাল বাড়িতে চলে আসে। পরদিন মঙ্গলবার স্কুলে আসলে ইংরেজি শিক্ষক মুসা মিয়া বিরতির সময় বিনা অনুমতিতে স্কুল ফাঁকি দেয়ার কারণ জানতে চায়। ফয়সাল বাড়িতে জরুরী কাজ থাকার কথা বললে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিক বেত দিয়ে বেদরক পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে পিটুনীর চোটে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয় এবং সে অজ্ঞান হয়ে ক্লাসে পড়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফয়সালের সহপাঠিরা জানায়, ওই শিক্ষক একাধিক বেত দিয়ে ফয়সালকে দীর্ঘ সময় বেত্রাঘাত করে। পরে বাড়িতে খবর দিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটিকে জানান ও মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে মামলা করতে বারণ করেন।
তবে খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ মুসা মিয়া শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং যা করেছেন তার ভুল বলে স্বীকার করেন।
প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক জানান, শিক্ষার্থী ফয়সালে পেটানো ঘটনাটি অমানবিক। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে বসে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু তালেব জানান, এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। তবে এবিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য বেনজীর আহম্মেদ বেনু জানান, শিক্ষার্থীকে পেটানো বিষয়টি বিকালে স্থানীয় স্থানীয় পর্যায়ে বিচার-শাসিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১০:৫৮ ৪৪১ বার পঠিত