শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পিলখানা হত্যা দিবস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পিলখানা হত্যা দিবস
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০



---

শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পিলখানা হত্যা দিবস। মঙ্গলবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

২০০৯ সালের এইদিনে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৫৮ জন সেনাসদস্য। হত্যাকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ।

এ উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে সকাল নয়টায় শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শদীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।

পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়াও এদিন সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয় এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকল স্তরের সেনাসদস্যের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

২০০৯ সালে এই দিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে শুরু হয় ‘বিডিআর বিদ্রোহ’। বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ওই বাহিনীর ৭৪ সদস্য নিহত হন। নিহতদের তালিকায় ছিলেন তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল। সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বিডিআরের গুলিতে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হন।

পিলখানার চারটি মূল ফটকই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুড়তে থাকে। জন্ম নেয় ইতিহাসের এক বীভৎস ঘটনার। টানা ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান ঘটলেও ততক্ষণে বিদ্রোহী সৈনিকরা কেড়ে নেন ৫৭ জন দক্ষ সেনা কর্মকর্তার জীবন। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ঘটনার পর পিলখানায় আবিষ্কৃত হয় গণকবর। যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১২:১৭   ১৪১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ