শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘স্কুলের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে আসতে বাধ্য করেন এবং সেখানে না পড়লে তাকে ফেল করিয়ে দেন। এটি এখন কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইন করে কিছু করতে পারবে না। আমাদের সকলের চোখ–কান খোলা রেখে শিক্ষকদের এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বীরমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ মা–বাবা কর্মজীবী। তাঁরা সন্তানদের খুব কম সময় দেন। তাঁরা ছেলেমেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। এটা কোচিং–বাণিজ্য। আইন করে এসব বন্ধ হবে না, তা আমরা সবাই বুঝি। তাই স্কুলের মধ্যেই পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং হতে পারে। আমাদের সকলের সচেতনতাই পারে কোচিং–বাণিজ্য বন্ধ করতে।’
কারিগরি শিক্ষা প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, ‘এ বছর ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা শুরু করেছি। তবে আগামী বছর থেকে সেটা মাধ্যমিক হোক আর মাদ্রাসা হোক আর সাধারণ হোক, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা পাবে শিক্ষার্থীরা।’
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেণিতে দুটি কারিগরি বিষয় পড়ানো হবে। তবে, শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক অন্তত একটি বিষয় কারিগরি বিষয় পড়তে হবে। এর পরের শ্রেণিতে যদি কেউ কারিগরি বিষয় নিয়ে পড়তে না চায়, সেও কিন্তু নিজের আত্মকর্মস্থান করতে পারবে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের না, এই কৃতিত্বের দাবিদার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সব গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া প্রশ্নফাঁস অপকর্মটিকে বন্ধ করা যেত না।’
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩২:২৪ ১৫৩ বার পঠিত