
হবে হবে বলেও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন নিশ্চুপ। তবে শীর্ষ নেতারা দাবী করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের পর নারায়ণগঞ্জের বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানাগেছে, সম্প্রতি কালে সাড়া দেশে আওয়ামীলীগের বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অভিযান শুরু হলে নারায়ণগঞ্জের বিতর্কিতরা আতংকিত হলেও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লাস দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অভিযান শুরু না হওয়ায় ত্যাগী নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। আর কবে নাগাদ নারায়ণগঞ্জে এই অভিযান শুরু হবে তাও এখন অনিশ্চিত। গতকাল পর্যন্তও বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়নি। যার ফলে বিতর্কিত নেতারা আরো দাপুটে হয়ে উঠেছেন। আর বিতর্কিতদের দাপটে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরাও অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাবাদী নেতাদের তালিকা প্রস্তুত সম্পূর্ণ হয়েছে বলে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। আর দলের ভার্বমূতি অক্ষুন্নু রাখতে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পরেছে বিতর্কিতরা। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জে বিতর্কিতরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। যা এখনো চলমান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের নাম ব্যবহার করে এলাকার আধিপত্য বিস্তার, তেল সেক্টর, ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, জমি দখলে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে জেলার শীর্ষ নেতাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিতরাই উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে শহরকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, দলের বিতর্কিতদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে বলে দলের এক শীর্ষ নেতা দাবী করেছেন। নাম না প্রকাশের শর্তে ঐ নেতা জানান, চলতি মাসে না হলেও আগামী মাসেই নারায়ণগঞ্জে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি ত্যাগী নেতাকর্মীদেরও যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বিতর্কিত কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে। এমনকি এসব বিতর্কিত কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে দলের নাম ব্যবহার করে এসব সুবিধাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে এখনি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পরেছে বলে মনে করছেন দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া না হলে দলের সাধারন কর্মীদের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পরবে। এছাড়া ধীরে ধীরে জন সমর্থন কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৬:০১ ১৯৫ বার পঠিত