
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জে দুটি হাসপাতালের সঙ্গে নতুন করে ৫০ শয্যার একটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। শহরের শায়েস্তা খান সড়কে নির্মিত জুডিশিয়াল ভবনে ওই ৫০টি শয্যার ইউনিট খোলা হয়েছে। এর আগে শহরের ১০০ শয্যা ও ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন নতুন করে ৫০ শয্যা যুক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এ ইউনিটের কাজ শুরু হয়। ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার দুটি রুমকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা সহ শয্যার ব্যবস্থা ও আনুসাঙ্গিক কাজ করা হয়। ইতোমধ্যে ওই ভবনে বিদ্যুতের সংযোগ ও শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সকল ধরনের লোকজনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে জেলা মাল্টিসেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, নারায়ণগঞ্জে সন্দেহজনক যদি কেউ করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তাৎক্ষনিক যাতে আমরা রাখতে পারি এজন্য আইইডিসিআর এর পরামর্শ অনুযায়ী ৫০ শয্যা করোনা সেল ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। প্রয়োজন হলে যেন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে পারি এজন্য করে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জবাসীকে কোন ধরনের আতংকিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নাই। লোকজনদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে কোন ধরনের সমস্যা নাই। এদিকে নারায়ণগঞ্জের ইটালী ফেরত এক প্রবাসী ও তার স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর তারা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১৪:০৮ ১৮৮ বার পঠিত