
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের এজেন্টদের প্রথমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হতো। তারপর বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহকদের নম্বরে ফোন দিয়ে তাদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলা হতো অথবা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠানো হতো। গ্রাহকরা সেই কোডে ডায়াল করলেই কিংবা লিঙ্কে ক্লিক করলেই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যেতো প্রতারকদের হাতে।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের মূলহোতা মো.
সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইস এবং মোবাইল জব্দসহ তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম, বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
রকিবুল হাসান আরও বলেন, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অংকের টাকা লেনদেন করতেন, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টরা চক্রটিকে জানিয়ে দিতেন। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে কল দিয়ে বলতেন- আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এমন সব ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিঙ্কে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতে পারতেন।
র্যাব জানায়, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সোহেল তার চক্রের আরও ৪-৫ জনের নাম বলেছে। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৩:৪৬ ১৭৬ বার পঠিত