
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেন। এখন দিন বদলে গেছে। নদী রক্ষায় আন্দোলনকারিরা আগে আত্মগোপনে থাকতেন; এখন নদী দখলদাররা আত্মগোপনে থাকে। নদী রক্ষায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স অনুযায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘দখল ও দূষণমুক্ত নদী প্রবাহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রবাহিত নদী থেমে গেছে। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে নদীর প্রবাহ থেমে গেছে। পরবর্তিতে সেটি জটিল থেকে জটিল হয়েছে। এখন নতুনভাবে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর শুধু নদী নয় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন নদী নিয়ে কথা বলার পরিবেশ প্রধানমন্ত্রী তৈরি করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালে নদী রক্ষার নির্দেশনা দেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেননি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী গবেষণার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নৌপথ রক্ষায় কাজ করছে। নদীর মালিকানা/ অভিভাবকত্ব রয়েছে। নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছেন। নদী রক্ষায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাবো।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সাদতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন, পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস, সাংবাদিক আনিসুর রহমান খান, সাংবাদিক মহসিনুল করিম লেবু, সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. মো. মহসিন আলী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য ড. মো. লুৎফর রহমান এবং সহ-সভাপতি মাহবুব সিদ্দকী।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪২:৩৭ ১৮২ বার পঠিত