‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি উচ্চারিত হচ্ছিল মঞ্চে, স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শকের কণ্ঠে। মহান মুক্তিযুদ্ধ এই স্লোগান যেমন সারাদেশের মানুষকে এক সূত্রে গেঁথেছিল, তেমনি প্রতিটি সংকটে এবং জাতির অর্জনেও যেন এই স্লোগান পুরো জাতিকে একতাবদ্ধ করে। এ প্রত্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ উপলক্ষে ‘জয় বাংলা’ কনসার্টের আয়োজন করে ইয়াং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি কেন এভাবে আমাদের অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেল! এ একটি স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশের মানুষকে একটি প্রত্যাশায়, একটি প্রতিজ্ঞায় এক করে তুলেছিল। আর এখন বর্তমান সময়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান হচ্ছে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাওয়া এই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করে তুলতে কাজ করে যাওয়ার প্রেরণার উচ্চারণ।
গতকাল তরুণদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত জয় বাংলা কনসার্ট। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই পুরো আর্মি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। গানের সুরে নেচে গেয়ে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। কনসার্টটি উপভোগ করার জন্য প্রায় হাজার হাজার সংগীতানুরাগী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করে।
প্রতিটি ব্যান্ডদলই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচারিত অনুপ্রেরণামূলক গানগুলো গেয়ে শোনায় দর্শকদের। আর বড় পর্দায় দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটির রঙিন অংশ। এ ছাড়াও লাল-নীল আলোকরশ্মির লেজার শোতে ফুটে ওঠে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। কনসার্টের মিডিয়া পার্টনার ছিল ইত্তেফাক।
দেশের প্রতিটি দুর্দিনে ৭ মার্চের চেতনায় গর্জে ওঠার দুরন্ত আহ্বান নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে হাজির হয়েছিল দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলো। কনসার্টে অংশ নেয় দেশের ৭টি ব্যান্ডদল। এরমধ্যে ছিল— আর্বোভাইরাস, শূন্য, ক্রিপটিক ফেট, নেমেসিস, লালন, চিরকূট ও আর্টসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১১:৩৬ ৩২৯ বার পঠিত