
যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের সম্মতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর সদরঘাটে শনিবার (৪ এপ্রিল) নৌযানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘লঞ্চগুলোতে আইসোলেশন সেন্টার করা হলে উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা পৌঁছেনি, সেখানে কেউ আক্রান্ত হলে এ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কারণে লঞ্চগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নৌযান শ্রমিকদের পাশে আছি। করোনা সংক্রান্ত সংকট থেকে উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকার নৌযান শ্রমিকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে। লঞ্চ মালিকদের বিষয়টি সরকার নিশ্চয়ই দেখবে। সরকার রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে প্রণোদনা দিয়েছে। নৌপরিবহন সেক্টরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
পরে প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে ঘাটশ্রমিকদের মধ্যে ২০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অভ্যন্তরীণ নৌযান (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল এবং লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৪:৫৪ ১৯৭ বার পঠিত