
জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে করোনা ভাইরাসের কারণে যে সকল কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে জেলা প্রশাসন তাদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার ( ৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, গতকাল হট লাইনে প্রাপ্ত ফোন কলের ভিত্তিতে জরুরিভাবে সদর উপজেলার পাইকপাড়া, লামাপাড়া, মিজমিজি আব্দুল আলীর পুল, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় কর্মহীন অসহায় পরিবারের বাড়ি গিয়ে সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণের সময় কিছু তথ্যে গড়মিল পাওয়া যায়। অনুগ্রহপূর্বক সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরনের স্বার্থে সঠিক তথ্য হট লাইন নম্বরে জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে বিভিন্ন প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলাসমূহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ তাদের স্ব-স্ব এলাকায় সরকারিভাবে প্রাপ্ত এবং স্থানীয় উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৭ লাখ টাকা ও ৬০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য উপ বরাদ্দ প্রেরণ করা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। বেসরকারি উদ্যোগে প্রাপ্ত মানবিক সহায়তার মধ্যে ২ হাজার ৮৭৭ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা এবং ১৬ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৭৬১ প্যাকেট খাবার ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কোন উপকারভোগী যেন বাদ না পরে এবং দ্বৈততা পরিহারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার মানবিক কাজে উদ্যোগে বিত্বশালী ব্যক্তি, সংগঠন, এনজিও কোন খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২০ নং নির্দেশনা অনুযায়ী আবশ্যিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নেয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সবধরনের জনসমাগম, জটলা বা ভিড় পরিহার করার জন্য এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:০০ ১৮৭ বার পঠিত