
সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কবির হোসেনকে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মোকাবেলায় সরকারী ত্রাণ আত্মাসাতের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. কবির হোসেন করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রস্তাব মোতাবেক ৩৬৬ নং প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪) (খ)(ঘ) ধারার অপরাধে তাকে কেন তার পদ থেকে চুড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাবপত্র জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সরকারী ত্রাণ আত্মসাৎ করিনি। আমার ব্যাক্তিগত টাকায় আরো ৫ শ মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। ত্রাণ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে আমি যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেবো।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এ ইউপি সদস্যকে বহিস্কারের বিষয়টি সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের জন্য বিপদ সংকেত। যাতে কেউ ভবিষ্যতে কেউ গাফলতি বা আত্মসাৎ করতে না পারে এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৫৪ ১৭৪ বার পঠিত