
পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজারে শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। নিহতের নাম মো: শহীদুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌণে ৪ টায় মারা গেলেও সকাল ৯ টা পর্যন্ত লাশের শেষ গোসল দেয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিলনা।
এলাকার মানুষের সন্দেহ শ্বাসকষ্টের কথা বলা হলেও ওই ব্যক্তি মারা গেছে করোনা ভাইরাসের কারনেই। ভোর বেলায় পরিচিতজনদের মধ্যে অনেকে তাকে দেখতে এলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সকলে এড়িয়ে তাকে এড়িয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে সকাল ১০ টা নাগাদ জানাযার নামাজ শেষে কাশীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, শহীদুল ইসলাম পেশায় ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। শহীদুল ইসলাম বাংলাবাজারের প্রধান বাড়ির বাসিন্দা। সে নির্মাণ শ্রমিক হলেও আধ্যাত্মিক লাইনের লোক ছিলেন।
বেশ কিছুদিন যাবৎ সে শ^াসকষ্টে ভুগছিলেন। নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রভাব বাড়ার পরও সঠিক চিকিৎসা নেননি। বরং রাস্তায় ঘুরতে বের হতেন। মুখে মাস্কও পরতেন না। বুধবার দিবাগত তিনটায় তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
টেলিফোনে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাতটুকু কোন মতে পার হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শহীদুল ইসলামকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে জরুরী বিভাগে ও করোনা ইউনিটে কেহই তাকে দেখেননি। এমনকি টিকিটটি পর্যন্ত কেনা সম্ভব হয়নি। খানপুর হাসপাতালের টিকিট কাউন্টার ছিল ফাঁকা। কোন লোক ছিলনা।
নিহতের ছেলে শাওন হোসেন জানান, খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা মিলে। সেখানে কিছু টেস্ট দেয়া হয়। টেস্টগুলো আজ করানোর কথা ছিল। কিন্তু রাতেই শ^াসকষ্ট বেড়ে গিয়ে আব্বার মৃত্যু হয়।
আলোকিত কাশীপুর সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের খবর দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেহ লাশের গোসল দিতে চাচ্ছিলনা। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা গোসল করিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
AddThis Sharing Buttons
Share to Facebook
Share to TwitterShare to LinkedInShare to More
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৬:১৫ ১৪৫ বার পঠিত