
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে অপবাদ দিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাটাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকেরা জানায়, উপজেলার কাটাখালী গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদুল গাজীর সাথে একই গ্রামের আজাহার সিকদার ও আব্দুর রহিম মাওলানা গংদের বাড়ি ও পুকুরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সকালে ওই পুকুর পাড়ে শহিদুল গাজী ও তার পরিবারের লোকেরা ঘাটলা দিতে গেলে আজাহার সিকদার ও রহিম মাওলানা গংরা তাদেরকে করোনাআক্রান্ত বলে অপবাদ দেন।
এ সময় বাক-বিতণ্ডা হলে শহিদুল গাজী (৪৫), তার ছেলে নাইমুল ইসলাম (১৮) ও তার স্ত্রী মিনারা বেগমকে (৩৮) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন আজাহার সিকদার ও রহিম মাওলানা গংরা। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত শহিদুল গাজী জানান, পুকুর ও ফসলী জমি নিয়ে আজাহার ও রহিম গংদের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। আমি ঢাকায় রডের দোকানে শ্রমিকের কাজ করি। প্রায় দেড় মাস আগে গ্রামের বাড়িতে আসি। আমার ছেলে নাইমুল ঢাকার কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি’র পরীক্ষার্থী। করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ আমরা বাড়ি চলে আসি।
তখন থেকে প্রতিপক্ষ আজাহার ও রহিম মাওলানা গ্রামে গ্রামে বলে আসছে আমরা নাকি করোনাআক্রান্ত। আহত অবস্থায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলে প্রতিপক্ষরা হাসপাতালে এসেও বলে যায় আমরা করোনায় আক্রান্ত। এ কথা শুনে আমাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করতে চায়নি। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনার কথা শুনলে যে কেউ আতঙ্ক হতে পারে। যা শুনলাম, আসলে আহতরা অনেক আগেই বাড়ি এসেছেন’।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৯:৪১ ১৩৩ বার পঠিত