
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক সংবাদিকের ওপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাহেরচরে অবস্থিত ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন মাঝের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিক মোহম্মাদ তুহিন বাদী হয়ে রাতেই রাঙ্গাবালী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৫৮১) হিসেবে গ্রহণ করে রাতেই ঘটনার তদন্তে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, ওবায়দুল কবির নিপুর ছেলে জাওয়াদুল কবির প্রিতম (২৫), ইকবাল পহলানের ছেলে হৃদয় পহলান (২৫), নিখিল মাঝির ছেলে দুর্জয় (২০) ও আল আমিন মিস্ত্রির ছেলে সায়েম (২০)। তাদের সবার বাড়ি উপজেলা সদরের বাহেরচরে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রিতম ও হৃদয়সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক তুহিন।
এ সময় পরিকল্পিতভাবে প্রিতমের নেতৃত্বে হৃদয়, দুর্জয় ও সায়েমসহ ৮-১০ জন তার ওপর হামলা চালায়।
সংবাদকর্মী তুহিনকে বেধড়ক মারধর করে তারা। এ সময় স্থানীয়রা উপস্থিত থাকলেও ভয়ে তারা কেউ তুহিনকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতাবস্থায় তুহিনকে উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে পাঠানো হবে বলে জানান তুহিনের পরিবার।
আহত সংবাদকর্মী তুহিন বলেন, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ওই সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে হামলাটি করেছে তারা। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম সোহেল বলেন, ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক, তা না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ঘটনায় জড়িত যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সংবাদকর্মী তুহিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাব। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৮:০০ ১৩০ বার পঠিত