নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের এসও রোড এলকায় তেল ব্যবসায়ি আশরাফ উদ্দিন বাহিনী ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়ে পক্ষের মধ্যে ৬ জন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের লোকজন এসরোড ডিপো সংলগ্ন এলাকায় অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছিল। এসময় আশরাফ বাহিনীর সদস্য মুন্নাসহ কয়েকজন কোন ধরনের কারণ ছাড়াই তাদের সাথে র্দুব্যবহার করে এবং সিরাজ মন্ডলের নাম ধরে গালমন্দ করে। এতে সিরাজ মন্ডলের অনুসারী নোমান ও সালাম বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিরাজ মন্ডলের লোকজনকে মারধর করে আশরাফ বাহিনীর লোকজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সিরাজ মন্ডলের লোকজন এগিয়ে আসলে আশরাফ বাহিনী পালিয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষনে আশরাফ, মহিউদ্দিন, খোরশেদ, নাজির, মুন্না, সোহেল মাস্টার, পানি আক্তার, খোকন (ইবা), সুমন (আইলপাড়া), ইপ্তি, রিফাতসহ ৪০/৫০ জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সিরাজ মন্ডলের লোকজনের উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। এ সময় সিরাজ মন্ডলের লোকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয় গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘক্ষন চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাব-১১ এর একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এবং উভয় পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের এ্যাকশনে সিরাজ মন্ডলের ৬ জন রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। তারা হলো-সুমন, বাক্কু, নোমান, রাকিব, বড় সমুন, ও সালাম।
সিরাজ মন্ডল জানান, আমার লোকজন ত্রাণ দিচ্ছিলো। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ দেয়া হয়। বিকালে এসও রোড খেজুর গাছ তলা এলাকায় ত্রাণ দেয়ার সময় বিনা কারণে আমার ছেলেদের উপর আশরাফ উদ্দিনের লোকজন হামলা করে। পরে বাধা দিলে তারা দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। আমি মনে করি এটা তাদের পরিকল্পিত হামলা। আমি আশরাফসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অপরদিকে আশরাফ উদ্দিন জানান, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিরাজ মন্ডল বাহিনী তার অফিসে হামলা করেছে।
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, ত্রান দেয়ার সময় একটি পক্ষ দু:ব্যবহার করে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সংঘাত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৬:১২ ১২৩ বার পঠিত
