
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরী না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এ পরিস্থিতি মোকারেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক বার্তায় নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
মেয়র নগরবাসীর প্রতি বার্তায় বলেন, আমাদের স্থাপিত কন্ট্রোলরুম প্রতিদিন তথ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনটি অঞ্চলের জন্য পৃথক ৩টি মেডিকেল টিম নিয়মিত টেলিফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে। এ পর্যন্ত আমাদের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ৫১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যার মধ্যে ১২৯ জনের করোনা পজেটিভ চিহ্নিত হয়েছে। আমরা লাশ দাফন-কাফন/সৎকারের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছি। ইতোমধ্যে কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় সিটি করপোরেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফন-কাফন/সৎকার কাজ করা হচ্ছে। নগরীতে নিয়মিত জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
ডা. আইভী বলেন, আমি জানি লকডাউন অবস্থায় আপনারা অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিশেষ করে কর্মহীন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক, হকার, গার্মেন্টস কর্মী ভাইবোনেরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। কিন্তু মহামারি এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার উপায় নিজের ঘরে থাকা। নিজে সচেতন থাকুন অন্যকে সংক্রামন রোধে বিরত রাখুন। আপনাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা ঘরে থাকুন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। আপনারা যাতে অনাহারে না থাকেন তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি অনেক জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক/সামাজিক ব্যক্তিবর্গ সহায়তা করে যাচ্ছে। আমাদের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ৩৬ জন কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় ১লাখ ৮হাজার দুঃস্থ, হতদরিদ্র মানুষের তালিকা করেছি এবং কাউন্সিলরদের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী নতুন করে আরও এই তালিকায় যুক্ত করছি।
মেয়র আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪১০.৮২ মেট্রিকটন চাল ও অনুসাঙ্গিক খাদ্যসামগ্রী ও শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য ১৯ লাখ ৫৯হাজার ৮০০টাকা স্বল্প আয়, দুঃস্থ ও কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত বরাদ্দের চালের সাথে আনুসাঙ্গিক খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে তালিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪১হাজার ৪২টি পরিবারকে খাদ্য সরবরাহসহ ৮৫০টি পরিবারকে শিশুখাদ্য কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সরকারী নির্দেশনা মেনে খাদ্য সরবরাহ করেছি। ইতোমধ্যে আরো ৮০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা উত্তোলন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১০:৩০ ৩৫৩ বার পঠিত