
ত্রাণের দাবিতে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। এবার তারা বিক্ষোভ করেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে।
শুক্রবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এদিকে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে টহলে থাকা সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর আগে গত বুধবার তারা সাইনবোর্ড এলাকায় একই দাবিত মহাসড়ক অবরোধ করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো প্রকার ত্রাণ সহায়তা পাননি।
এতে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণের দাবিতে তারা বাধ্য হয়েই মহাসড়কে নেমেছেন।
তাদের অভিযোগ, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির আগে মালিক সমিতি শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা নিয়েছে। আজকের এই দুর্দিনে সংগঠন থেকে কোন ধরণের সহায়তা তারা পাননি।
এর আগে ত্রাণের কথা বলে তাদের ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি নেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের (বি-২৩০২) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুদ রানা এবং সিকিম আলীর নের্তৃত্বে শ্রমিকরা এতে অংশ নেয় বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন এসএম মাসুদ রানা। তিনি বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে পরিবহণ শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে তাদের খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রয়োজন।
এবিষয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২০ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে সড়ক অবরোধ করতে বলিনি। সড়ক অবরোধের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
তবে আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রতিনিধির সঙ্গে ত্রাণের বিষয়ে যোগাযোগ করতে পরিবহন শ্রমিকদের বলা হয়েছিল। যদিও অবরোধে অংশ নেয়া অনেক শ্রমিকই বলেছেন মাসুদ রানা ও সিকিম আলী নামে দুই শ্রমিক নেতা তাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ্য, এই সংগঠনের নের্তৃত্বে গত কয়েক বছর ধরে শিমরাইল মোড়ে গণপরিবহনের কার্যক্রম চলে আসছিল। গত বছরের ৩ জুলাই র্যাব-১১ মাসুদ রানা, শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুস সামাদ বেপারীসহ ৪ পরিবহণ চাঁদাবাজকে শিমরাইল এলাকায় পরিবহণে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার করেছিল।
সেসময় র্যাব-১১ জানিয়েছিল, মাসুদসহ চাঁদাবাজ চক্রটি প্রতিদিন পরিবহন ও অন্য খাত থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, ত্রাণের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকেরা শিমরাইল মোড়ে মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছিল। তারা দাবি করেছে, কোনো ত্রাণ তারা পায়নি। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৪:১০ ১৬০ বার পঠিত