আরজু রহমান ভূইয়া। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।
আরজু রহমানের পিতা মরহুম এ আর ভূইয়া তৎকালীন বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে আন্তর্জাতিকবলয়ে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত কাঁচাপাট ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি দেশের তৎকালীন সময়ের আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আরজু রহমান ভূইয়া রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক এবং শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসন থেকে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আরজু রহমান ভূইয়ার রাজনৈতিক জীবন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতির বিভিন্ন বিয়য় ও সৃজনশীল রাজনীতির বিষয়ে কথা হয় তার সাথে। নিচে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো :
আরজু রহমান ভূইয়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু সম্পর্কে বলেন, আমার মরহুম বড় ভাই আব্দুস সাত্তার ভূইয়া ১৯৪৮ সালের দিক থেকে আওয়ামীলীগ করতেন। সত্তর দশকে নারায়ণগঞ্জ সিটের সদর-বন্দর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচন করেছেন এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। আমার ভাইয়ের রাজনীতি থেকেই উৎসাহ ও প্রেরণা পেয়েছি।
স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭২ সালে আমি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে আমার রাজনীতিতে প্রবেশ। নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সহ-সম্পাদক ছিলাম। ওই সময়ে ভিপি ছিলো বীরবল হোসেন। ১৯৭০ সালের বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় আমার বড় ভাই আব্দুস সাত্তার ভ্ইূয়া (বাদশা সাহেব) নারায়ণগঞ্জ সদর আসনের এমপি ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নারায়ণগঞ্জে তিনি জোর প্রতিবাদ জানাই। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালৈ স্বৈরাচারী জিয়া সরকারের ছাত্র-ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হই।
১৯৮৫ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন স্বৈরশাসক আমলে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরে নেতৃবৃন্দ যখন জেলের ভেতরে ছিলেন ঐ সময়ে তিনি আওয়ামী রাজনীতির ক্রান্তিকালে রাজপথে সক্রিয় রাজনীতিতে আমাদের পদচারণা র্ছিলো।
১৯৭৩-৭৪ সলে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৪-৭৫ শহর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই। ১৯৭৭-১৯৮০ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হই।
ওই সময়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ১৯৭৮-৮১ সালের সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আরজু রহমান ভূইয়া বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ-কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
ওই কমিটির তখন সভাপতি ছিলেন আনছার আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোশারাফ হোসেন এমপি। ১৯৯০ সালে তিনি বন্দর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানে জাপার প্রার্র্থীরা আমাকে জোর করে ফেল করায়। ১৯৯১ সালে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি।
১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এ কমিটির সভাপতি হিসেবে ছিলেন আনছার আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন মফিজুল ইসলাম্ ২০০১ সাল থেকে জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলাম। আর বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে একজন আমলা এসএম আকরামকে আমরা ক্ষমতায় আনি। ১৯৯৭ সালে জেলা আওয়ামীলীগের কনফারেন্স হয়। তখন আনছার আলী সভাপতি এবং আমি সেক্রেটারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি।
তৎকালীন সময়ে বর্তমান এমপি শামীম ওসমান আমাকে বললো ভাই আমি সেক্রেটারী হতে চাই। আমাকে দেন। আমি তখন সেক্রেটারী পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেই। আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ছিলো এটি। আমার এ প্রত্যাহারের কারণে আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদির, এমএ কুদ্দুস. আনসার ভাই আমার এ সিদ্ধান্তের প্রতি অনেক দুঃখ ও কষ্ট পেয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমি সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। এসএম আকরাম ২০০৩ সালে বন্দর থানার কনফারেন্স করলেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে বিশেষ করে বন্দর থানা আওয়ামীলীগকে দূর্বল করার পেছনে একমাত্র কারণ এসএম আকরাম। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এসএম আকরাম সাহেবের ফিটনেস নাই বলেই আমি মনে করি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোয়ন প্রত্যাশার বিষয়ে আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধর কন্যা শেখ হাসিনার একটি চ্যালেঞ্জিং মানসিকতা রয়েছে। তিনি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে চান। স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চান তিনি।
এ লক্ষ্যে উনি সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য ভালো প্রার্থী এবং জনগণের কাছে উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে যাই বলুক, টাকা পয়সা বলেন আর বড় বড় নেতাদের সাথেই যোগাযোগ বলেন কোন ফায়দা হবে না। ৩০০ আসনের মধ্যে একটি আসনই নিশ্চিত সেটা শেখ হাসিনা আসন। আর বাকিগুলা নেত্রী যাকে দেন। এবং মাঠ থেকে যার নাম আসবে নেত্রী তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
এর প্রমাণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজকে নেত্রীর কাছে ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী একটি রোল মডেল। কাজেই সৎ, যোগ্য এবং ত্যাগী যারা আছেন তাদের মাধ্যমেই নির্বাচনী মাঠ থেকে নিয়ে এসে তিনি প্রার্থী দিবেন।
নেত্রী বলেছেন, যত উন্নয়নই হোক না কেন মানুষের সাথে যদি আচরণ ভালো না হয় তাহলে এ উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আমাদের অনেক এমপি রয়েছেন উন্নয়ন করুক আর যাই হোক, মানুষের সাথে যোগাযোগ, আচরণ, ব্যবহার, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজিতে যারা জড়িয়ে গেছেন তাদেরকে জনগণ কখনোই ভোট দেবেন না। জনগণের কাছে যারা যেতে পারবেন নেত্রী সে ধরণের নেতাকেই মনোনয়ন দেবেন। আমি কাজ করে যাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে মোকাবেলা বা চ্যালেঞ্জের বিষয় নয়। এটা রাজনীতি। দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কৌশল দলই ঠিক করবে। নারায়ণগঞ্জেই জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে হবে এটা কোথাও লেখা নেই। আমাদের কাজ হলো আমাদের দল জোট ছাড়াও তো নির্বাচন করতে পারে।
আমি আমার দল থেকে মনোনয়ন নেয়ার জন্য মাঠে নামবো, জনগণের সাতে কথা বলবো। আমি যদি জনপ্রিয় হই আমার দল তখন তো খবর নেবে আমি জনপ্রিয় না জোটের লোক জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ব্যাপকহারে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। একটি পর্যায়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সিদ্ধান্তে যাবেন আমাদের কি করা প্রয়োজন। প্রার্থীর বিষয়ে কোন সুপারিশ কোন জায়গা থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাজে আসবে না।
দীর্ঘদিন সদর-বন্দর এলাকায় আওয়ামীলীগের সাংসদ না থাকার কারণে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা নিগৃহিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রী দলকে ভালোবাসেন। দলের উপযুক্ত নেতা যদি এখানে দাঁড়িয়ে যান , কর্মীরা যদি সোচ্চার ও বেগবান হয়ে যায় তখন কর্মীদের চাহিদা ও তৃণমূলের, জনগণের চাহিদা নেত্রী অস্বীকার করতে পারবেন না।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নেত্রী জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়নি। ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের খান বাহাদুর ওসমান আলীর ছেলে একেএম সামসুজ্জোহা, মোস্তফা সারোয়ারকে ছাড় দেয়া হয়েছে। এবারের বিষয় নেত্রী তো অনেক ছাড় দিয়েছেন। দলকে যদি দলের মতো পরিচালিত করতে হয়, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হলে এখানে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন।
এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী না থাকায় তৃণমূল নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামীলীগের সমর্থনে নৌকার বদলে লাঙ্গলকে ভোট দিচ্ছে। জনগণ চাইছে এবার নৌকাকে ভোট দিতে। জনগণ ইমেজ রক্ষার্থে পরিবর্তন চাচ্ছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনটি অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয়। অনেকে ভাবতেছেন এমনিতেই পাশ হয়ে যাবেন। কিন্তু এখানে অনেক পরিশ্রমের বিষয় রয়েছে। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের প্রার্থী না থাকার কারণে বন্দর এলাকার অসংখ্য নেতকর্মী নিরীহ অবস্থায় রয়েছে। সামাদ মোল্লা, রাজ্জাক অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
জবরদস্তী করে বন্দর, কলাগাছিয়া, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের ফেল করিয়েছে জাপা। জাপার নেতৃবৃন্দের নির্দেশে পুলিশ আওয়ামীলীগের কর্মীদের হয়রানি করেছে। সদরে একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাশ করেছে তাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে। কর্মীদের মনে তাই ক্ষোভ রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের কাছে যাওয়ার প্রয়াসে আমার সকল কর্মকান্ড আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। আমি আশা করি আরো উঠান বৈঠক আমার হবে। নির্বাচন হতে হতে আগষ্ট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতির দিক লক্ষ্য রেখে আওয়ামীলীগের উন্নয়ন জনগণের কাছে তুলে ধরবো।
মানুষ গডফাদার, চাঁদাবাজদের আর চাচ্ছে না। নেত্রীর ভরষা তৃণমূল। বন্দরবাসীর চাওয়া আওয়ামীলীগের নেতা এমপি হোক। যার সাথে তারা মনের কথা বলতে পারবে। উঠান বৈঠকে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। মানুষের ভেতরে বিশ্বাস অর্জন হয়েছে। জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী এ আসনে বন্দরবাসীর প্রাণের দাবি তা এখন প্রকাশ্যে।
সৃজনশীল রাজনীতি করতে ঘাটতির কিছুর নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পক্ষ সবসময়ই চায় ক্ষমতা নিতে। ক্ষমতা নিতে পারলে তারা সেটিকে তাদের সুবিধামতো কাজে লাগায়। আর যখন ক্ষমতায় বাধাগ্রস্থ হয় তখন এই উন্মাদনাটা তৈরী হয়। যারা ব্যাপক ক্ষমতা চায় তারাই সংঘাত তৈরী করে। তৃণমূল আসলে কাউকে চাইলে কোন সন্ত্রাসীর কোন কিছু কাজে আসবে না।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নানা প্রপাগান্ডা করা হয়েছে। সমস্ত প্রপাগান্ডার উর্ধ্বে এসে হাই কমান্ড তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তৃণমূলের সিদ্ধান্তই আসল সিদ্ধান্ত। আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যেই রাজনীতি করি। সৎ রাজনীতি করতে গিয়ে মৃত্যু হওয়ার চেয়ে বড় কিছু নেই। সন্ত্রাসের সাথে সন্ত্রাসী করে মোকাবেলা করতে হবে এ রাজনীতি করি না। তোলারাম কলেজের ভিপি থাকাকালীন সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে কলেজ চালিয়েছি।
সৃজনশীল রাজনীতির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে তুলে ধরতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যখন শুনেন নারায়ণগঞ্জ গডফাদারদের জেলা তখন তিনি বিরক্তবোধ করেন। এ জন্যই আমাদের জেলা মন্ত্রীত্ব শূণ্য, বড় কোন ধরণের উন্নয়ন আমাদের জেলায় নেই।
যখন নারায়ণগঞ্জকে নেত্রী সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল, সোহার্দ্যপূর্ণ জেলা হিসেবে জানবেন তখন আমাদের কথা তিনি মনোযোগ সহকারে শুনবেন। আমার একটিই স্বপ্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের সাথে সুসম্পর্ক রাখা। বর্তমান মেয়রের সাথে কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা। তাহলে আমাদের এলাকা সুন্দর হবে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নির্বাচিত হলে তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক করা।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৬:১৪ ৬১৫ বার পঠিত