
নারায়ণগঞ্জ নগরী ও সদর থানা এলাকায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। জেলায় আজ সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেনে ১০৭৩ জন আর মারা গেছেন ৫১ জন। মোট আক্রান্তের ৯০ দশমিক ৭৭ ভাগ এবং মৃত্যুর ৯২ দশমিক ১৫ ভাগই হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ নগরী ও সদর থানা এলাকার।
বাকীগুলো জেলার আড়াইহাজার, রুপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও বন্দর থানা থানা ( সিটি করপোরেশনের বাইরে) এলাকার। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও সদর থানার ফতুল্লা এলাকায় ১৫ লাখের বেশী শ্রমিক গত ২৬ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে কাজে ফিরেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন লাখ লাখ শ্রমিকের কাজে ফেরার অবস্থাটা বুঝা যাবে আগামী ১২ মে থেকে। নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব ও সাভার লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো: রকিব হোসেন এনডিসি গত ৩০ এপ্রিল বলেছেন, কভিড-১৯ এর হটস্পট হিসেবে নারায়ণগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তবে সামান্য আশার বিষয় হচ্ছে আগামী কাল থেকে নারায়ণগঞ্জ তিনশ’ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
রুপগঞ্জে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলেও সেখানে গত তিন দিনেও নমুনা সংগ্রহের কোন তথ্য জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে করোনা বিষয়ে আইইডিসিআর তাদের ওয়েব সাইডে প্রতিদিনের তথ্য আপলোড করলেও আজ বিকেল পর্যন্ত সেখানে আর তথ্য আপডেট পাওয়া যায়নি।
কোভিড-১৯ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তথ্য :
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার মোট ৩ হাজার ৬৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে যে নমুনাগুলো পরীক্ষার ফল এসেছে তাতে সর্বমোট আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১০৭৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪৪ জনের।
আর গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন সনাক্ত ২০ জনের মধ্যে ৭ জন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার এবং ১২ জন সদর থানা এলাকার বাসিন্দা। জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায়িছে ৫১ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১০ জন সুস্থ হওয়ার ফলে জেলায় মোট সুস্থ হয়ে উঠা মানুষের সংখ্যা ৫৮ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৬৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৬ জন এবং সুস্থও হয়েছেন ৪১ জন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকায় ১৮৮৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন এবং আরোগ্য লাভ করেছেন ১২ জন।
আড়াইহাজার উপজেলায় ৩৬৫ জনের নমুনা সংগ্রহের পর প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ২৮ জন। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ জন।
রুপগঞ্জ উপজেলার ১৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহের পর প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত ১৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন এবং সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১ জন।
সোনারগাঁ উপজেলায় ১৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন। তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ জন।
বন্দর উপজেলায় (নারায়ণগঞ্জ নগরীর বাহিরে) ২৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ২৩ জন আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১ জন এবং এখনও কেঊ সুস্থ হয়ে উঠেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১১:০৪ ১১৭ বার পঠিত