
সরকারের নির্দেশনা মেনে নারায়নগঞ্জে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। সোমবার সারা জেলায় ২৪৭ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে ফিরেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
খোলার অপেক্ষায় রয়েছে আরো বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। করোনার পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। স্বল্প পরিসরে প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর পরই জেলার ফতুল্লা,রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক কারখানাগুলো চালু করেছে শিল্প মালিকরা।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক প্রবেশের বিষয়টি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার সকালে ফতুল্লার মুসলিমনগর তারা স্পিনিং মিলসে গিয়ে দেখা যায়,প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের বাইরে শ্রমিকরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশের পর পিপিই পরা একজন নিরাপত্তারক্ষী শ্রমিকদের গায়ে সামান্য পরিমান ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে।
তবে শ্রমিকরা নিজ নিজ বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেনি। অপরদিকে শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র পরীক্ষকের হাতে থাকার কথা থাকলেও তা ছিল না। শ্রমিকদের কতোটা সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিষ্ঠানের কাজে যোগদান করানো হচ্ছে এনিয়েও অল্প বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে তারা স্পিনিং মিলসের একজন শ্রমিক বলেন,পেটের দায়ে করেনাকে ভয় পাই না। করোনার চেয়ে ভয়ংকর হলো ক্ষুধা। তাই পেটের তাগিদেই কাজে যোগদান করছি ।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক(ইনভেস্টিগেশন) শেখ বশির আহম্মেদ বলেন,সোমবার সারা জেলায় মোট ২৪৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। কোথাও কোন শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করছে। তাছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৩:৩০ ২০৮ বার পঠিত