
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসের মধ্যে ছেলের মৃত্যু হলে জয়পুরহাট সদরের হিচমী নামক স্থানে ছেলের মরদেহসহ মাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো। রাস্তার পাশে ছেলের মরদেহ নিয়ে মা কান্নাকাটি করলেও করোনা আতঙ্কে কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ পাশের ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা হতে যাত্রীবাহী আসাদ পরিবহনে নওগাঁ জেলার ধামুইরহাটের জাহানপুর এলাকার মিজানুর রহমান ও তার মা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে মিজানুর রহমান হঠাৎ শ্বাসকষ্টে মারা গেলে ভোর ৩টার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার হিচমী নামক স্থানে মরদেহসহ মাকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি অন্য যাত্রীদেরকে নিয়ে হিলিতে চলে যায়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবহন শ্রমিকরা অমানবিক আচরণ করলেও নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ মিজানুরের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এদিকে জয়পুরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন। এরমধ্যে কালাই উপজেলায় ১৪ জন, সদরে তিন জন, ক্ষেতলালে একজন ও পাঁচবিবি উপজেলায় রয়েছেন পাঁচ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০ জনে। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন : কিট পরীক্ষার খরচ চেয়ে গণস্বাস্থ্যকে বিএসএমএমইউর চিঠি
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে এ জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৬ এপ্রিল। দিনের পর দিন তা বৃদ্ধি পেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে ব্যবসা পরিচালনার সরকারি নির্দেশনা তেমন মানা হচ্ছে না। পূর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন লেবু বলেন, করোনা আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এতে ব্যবসায়িরা আতঙ্কিত।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৩১:৩৭ ২২৪ বার পঠিত