
যাতায়াতের রাস্তায় খুঁটি দিয়ে ঘরবন্দি করার সময় বাধা দেয়ায় খুন হন আব্দুল আজিজ (২৮)। সে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মর্তুজাপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। হত্যায় অংশ নেয়া সব আসামিদের গ্রেফতারসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনতা। হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্য জড়িত থাকতে পারে এমন মন্তব্য চলছে জনমুখে।
থানা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিদের গ্রেফতার করছেনা বলেও অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (১২ মে) আসামিদের বাড়ির সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা ব্যতিত নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, এজন্যও জেলা পুলিশ সুপারের কড়া-নজর কামনা করেছেন স্থানীয় জনতা।
ইউপি সদস্য আলমগীরের শেল্টারে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে গুঞ্জন চলছে এলাকায়। ঘটনার আগে-পরে ইউপি সদস্যের বাড়িতেই অবস্থান করছিল হামলাকারিরা। ইউপি সদস্যের গাড়িতে করে এসে আজিজকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি স্থানীয়দের।
এলাকাবাসি ও মামলাসূত্রে জানা যায়, গত ৭ মে দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার মর্তুজাপুরের সাইফুল, শরিফুল, আলিম, ছায়েদা এবং দেবীপুরের সাইদুল, আশাদুল, আইনুল সহ তাদের দলবল নিয়ে যাতায়াতের রাস্তায় খুঁটি বসিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়।। এতে বাধা দিতে যায় আব্দুল আজিজ (২৮)। ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল, শরিফুল দলবল নিয়ে আব্দুল আজিজের ওপর হামলা করে।
অমানবিক নির্যাতন-মারধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আজিজ। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে আব্দুল আজিজসহ খালেক নামের আকেজনকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মহাদেবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
চিকিৎসাধিন অবস্থায় পরের দিন ৮ মে আব্দুল আজিজ মারা যায়। এঘটনায় আজিজের বড়ভাই আব্দুল মালেক বাদি হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজিজকে হত্যা ও দুই জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও ৫ নং আসামি সাইদুলকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা এখনো অধরা।
আসামিদের বাড়ির সামনে মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন স্থানীয় আব্দুর রহিম তাপশ, আহসান হাবিব, মুরাদ, মরিয়াম ও মামলার বাদী আব্দুল মালেক। এসময় উপস্থিত জনতার মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। আজিজকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান তারা। প্রায় দুইঘন্টা চলে মানববন্ধন।
মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই এরশাদ জানান, হত্যা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, মামলা হবার কয়েকদিন পর বাদি এসে বলেছে একজনের নাম বাদ পড়েছে। যেহেতু এটা হত্যা মামলা, তদন্তে যদি আলমগীর মেম্বার জড়িত থাকে, তাহলে অবশ্যই সেও আইনের আওতায় আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৪:১৫ ১২৯ বার পঠিত