২০ বছরে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘আম্পান’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ২০ বছরে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘আম্পান’
বুধবার, ২০ মে ২০২০



---

সুপার টাইফুন আম্পান আজ বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় হানা দিতে পারে। ইতিমধ্যে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আম্পানের প্রভাব দেখা গেছে। গাছ-পালা উপড়ে গেছে, বিদ্যুত সরবরাহ খুঁটি পড়ে গেছে।

‘আম্পান’ গত ২০ বছরের বেশি সময় পর এ অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। ১৯৯৯ সালে উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানা প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়ে ভারতে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই উড়িষ্যার পারাদ্বীপে সর্বোচ্চ ১০৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চান্দবালিতে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।বেলাশোরে ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।আর ভুবনেশ্বরে ৫৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।মুষলধারে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।দুপুর ও বিকালের দিকে এই ঝড় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এই সময় জানায়, বুধবার সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বেলা বাড়লেই শুরু হবে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুন্দরবনের কাছ দিয়ে উপকূলে উঠে আসার সময় আম্পান ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।

পথে কিছুটা দেরি হলেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে উপকূলীয় এলাকা। বড়সড় পরীক্ষার সামনে পড়বে সুন্দরবনের বাঁধ। কারণ, রাত পৌনে ৯টার সময় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছবে জোয়ার।

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। ১৫ মিটার উচ্চ জলোচ্ছাস বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

বুধবার ভোর ৬টার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১১:২২   ১১৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ