
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর মাদরাসার উল্টোপাশে মাওলানা হানিফের বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাই-বোন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচেছন। তারা হলেন রেদওয়ান ও খাদিজা; উভয়ই তার বাড়ির ভাড়াটিয়া জহিরের সন্তান। এ ব্যাপারে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ না হলেও পরিদর্শনে আসা এএসআই সহিদুলকে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি মাওলানা হানিফের ছেলে মনির ও মোবারক।
মাওলানা হানিফের ছেলে মনির জানান, বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে লেগে যায় বিদ্যুতের তারের সাথে। সেই ঘুড়ির সুতা টানতে গিয়ে বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় পড়ে যান রেদওয়ান। অন্যদিকে বাড়ির নিচে মিটারের বক্স সুরক্ষা না থাকায় সেটি ফেটে আগুন লাগলে পুড়ে যান বোন খাদিজাও। দুইজনই ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইমারত বিধিমালা না মেনেই মাওলানা হানিফ গড়ে তুলেছেন চারতলা ভবন। ভবনটির মাত্র পাঁচ ফিট উপর দিয়ে লম্বা হয়ে বয়ে গেছে এক লাখ আটত্রিশ হাজার ভোল্ডের বিদ্যুতের তার। স্থানীয়দের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাওলানা হানিফ দিনের পর দিন বাড়ি নির্মাণে অবহেলা করার কারণে আরো একজনের প্রাণ গেছে। মাস ছয়েক আগেও সিমেন্ট দিয়ে (শুধু মাত্র বালি দিয়ে) লিন্টারসহ বাড়ির কাজ করায় বাড়িটির দিনদিনই বেহাল দশায় পড়েছে বলেও জানান প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য গোলাপ মেম্বার জানান, মাওলানা হানিফ বাড়ি নির্মাণ করার সময় কারো কথাই শুনেননি। তিনি ইমারত বিধি না মেনেই বাড়িটি করায় আজ এই অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা চাই তার বাড়ির মতো আর কোনো বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত্যুর ঝুঁকিতে না পড়ে।
প্রতিবেশী মিনার জানান, বাড়ির গেইটে কোনো রকমের তালা লাগনো থাকে না, বাড়ির উপরে বিদ্যুতের তার আছে জেনেও তিনি বাড়ির ছাদে তালা লাগাননি। তাইতো এমন হয়েছে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ওসি কামরুল ফারুক জানান, আমরা ঘটনা শুনে স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি বাড়ির লোকজন। তবে ভিকটিমের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ২:৫৭:৫৯ ১৫৮ বার পঠিত