
মানিকগঞ্জে পদ্মা-যমুনা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে নদীতীরবর্তী পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও আরিচা নদীবন্দর এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যেকোনও সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার ফেরি ও লঞ্চ চলাচল।
জেলার শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের ৩, ৪ ও ৫ নং পল্টুন এলাকায় মারাত্মক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, একই উপজেলার যমুনা নদীতীরের আরিচা ঘাট এলাকায় ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙ্গে গেছে।
ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে অন্তত ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আরিচা নদীবন্দরের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য বাড়ি-ঘর। আরিচা ঘাটের উত্তর পাশে যমুনা নদীতীরের নিহালপুর থেকে দক্ষিণে প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র এ ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
আরিচা ঘাটের কাছে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি মওসুমে নদী খননের কাজ করলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং নদী ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আরিচা ঘাটের কাছে যমুনার ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কাজ আগামীকাল থেকে শুরু হবে।
এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদিক আজ (বুধবার) সকালে পাটুরিয়া ঘাটের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি ভাঙ্গন রোধে প্রকৌশল বিভাগকে তাৎক্ষনিক কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানান, জরুরি ভিত্তিতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গনরোধ সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যেই, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙ্গনকবলিত ৩টি পল্টুন এলাকায় মেরামতের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪১:১৪ ১১৮ বার পঠিত