নৌপথে যাত্রী পরিবহণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নৌপথে যাত্রী পরিবহণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০



---

নৌপথে যাত্রীবাহী পরিবহন স্টেশনে জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে,নিরাপত্তা এবং জীবণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদিরপর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।
• কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে এবং তাদের স্বস্থ্যের অবস্থা প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের যথাসময়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
• স্টেশনে আগত এবং নির্গত যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য ফেরি টার্মিনালে তাপমাত্রা নির্ধারকযন্ত্র স্থাপন করতে হবে। যথাযথ শর্তাবলী মেনে ফেরি টার্মিনালে একটি জরুরি এলাকা থাকতে হবে; যেসব যাত্রী শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩ সে: বা ৯৯+ ফা: এর উপরে থাকবে, তাদের এই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়রেন্টাইনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
• বায়ুনির্গমণ পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নৌচলাচলের সময়ে সর্বোচ্চ বায়ুচলাচল করতে দিতে হবে; যথাযথ তাপমাত্রা বায়ুচলাচলের জন্য কেবিনের জানালা খুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
• ফেরি টার্মিনালগুলোতে জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে টয়লেটগুলোতে তরলসাবান (অথবা সাবান) থাকতে হবে, সম্ভব হলে হ্যান্ডস্যানিটাইজার এবং হাতজীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।
• ফেরি টার্মিনাল এবং নৌযানগুলোকে তাদের পরিবেশ পরিস্কারপরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, আবর্জনাকে যথাসময়ে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জনগণের জন্য

ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানসমূহকে পরিস্কার করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক দিতে হবে।
• প্রতিটি নৌযানে হাতে ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে; যথাযথ স্থানে একটি জরুরি এলাকা স্থাপন করতে হবে, যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গগুলো যেমন জ্বর ও কাশি আছে, এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
• যথাযথ শর্তসাপেক্ষে নৌযানের অভ্যন্তরীণ তথ্যকেন্দ্র বা সেবাকেন্দ্রে হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকতে হবে, সেবাপ্রক্রিয়া নিখুঁত থাকতে হবে।
• প্রতিবার নৌযান ছেড়ে যাবার পূর্বে কেবিন ও ব্রিজের পৃষ্ঠতল পরিস্কার ও জীবাণূমুক্ত করতে হবে, সিটকভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিস্কার এবং
জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
• যাত্রী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং হাতের পরিস্কারপরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।
• যাত্রীদের অনলাইনে টিকেট ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, সারিবদ্ধভাবে ওঠার সময়ে এবং নেমে যাবার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর হতে একমিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে, এবং ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে।
• ফেরি টার্মিনাল ও নৌযানে যাত্রীদের স্বাস্থ্যসচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোষ্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
• যুক্তিসংগতভাবে পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা সজ্জিত করতে হবে এবং সীমিত আকারে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে যাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যেসব নৌযান মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এলাকা হতে ছেড়ে যাবে অথবা পৌঁছাবে অথবা ঐ এলাকা দিয়ে যাবে, সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীদের আলাদা সিটে
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।
• যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ এর রোগী পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৭:০৭   ১৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ