বিশস্ত দুই সহযোদ্ধাকে হারিয়ে সংসদে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিশস্ত দুই সহযোদ্ধাকে হারিয়ে সংসদে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী
রবিবার, ১৪ জুন ২০২০



---

পর পর দু’জন বিশস্ত সহযোদ্ধাকে হারিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব দুঃখজনক। এরপর কয়েক সেকেন্ড চুপ হয়ে যান, এসময় প্রধানমন্ত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আসলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে। দু’জনকে হারানো খুবই দুঃখজনক।

রোববার (১৪ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশনে মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেই শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এভাবেই আপ্লত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত সব সংসদ সদস্য স্তব্ধ হয়ে যান। নিরবতা নেমে আসে অধিবেশনে। টিভির পর্দায় দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী তার মুখের মাস্কটি দিয়ে মুখ ঢেকে কাশি দিচ্ছেন। আবারও গলা ধরে যায় তার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকুক এবং তা আছেও। অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে যাচ্ছিলাম। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। দেশের মানুষ একটা সুন্দর জীবন পাবে, অর্থনৈতিক উন্নতি হবে, সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বার বার আঘাত পেতে হচ্ছে, এ কথা বলেই চুপ হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মরণশীল। একবার জন্মগ্রহণ করেছি, মৃত্যু অবধারিত, সবার জন্য এটা প্রযোজ্য, এটা হবেই। যখন একটা কাজ করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের আশা ছিল আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করব, দেশের দারিদ্র্যসীমা আমরা কমিয়ে এনেছি, কোথায় ৪০ ভাগ ছিল, সেটাকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি, মাত্র ১০ বছরের মধ্যে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম, ঠিক তখন এমন একটা অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাস, যা কেউ চোখেও দেখতে পারে না, বুঝতেও পারে না, সারা বিশ্বটাকে স্থবির করে দিল। সারা বিশ্বে যেন কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করল। আমাদের আওয়ামী লীগের একজন কর্মীও যেখানে মারা গেলে, আমরা সবাই ছুটে গেছি, জানাজা পড়া, শ্রদ্ধা জানানো, পরিবারের সাথে দেখা করা, কিন্তু এমন একটা অস্বভাবিক পরিবেশ যে আমরা এবার করতে পারলাম না। কাউকে দেখা বা তার পরিবারকে সান্তনা দেওয়া বা তাদের সঙ্গে একটু কথা বলার সুযোগটাও কেন যেন পেলাম না, সেটাই সব থেকে কষ্ট। একটা আতঙ্ক, ভয়, ভীতি, মৃত্যু আতঙ্ক যেন সারা বিশ্বকে পেয়ে বসেছে। এটাই একটা অদ্ভুত ব্যাপার, আমি জানি না, এ ধরনের পরিবেশ আগে কেউ আর কখনো দেখেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:৪৩   ১৩৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ