
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মশার যন্ত্রণা, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য সংগ্রহে অপ্রতুলতা এবং এ রকম আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর পরিপূর্ণ সমাধান হয়নি। এর মূল কারণ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের অভাব। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ডিএসসিসি’র যে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারির কোন ধরনের অবহেলা ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
খিলগাঁওয়ের বটতলা ঝিল পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে রোববার সকালে ডিএসসিসি’র কর্মকর্তাদের তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলোকে নতুন করে কর্ম পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। সে অনুযায়ী আমরা বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ডিএসসিসি’র যে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারির কোন ধরনের অবহেলা এবং গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কারণ, আমি নগরবাসীকে এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চাই। তাই নতুন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রমে কোনো ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে আমি ডিএসসিসি’র সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করব, আপনারা এই ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো আমাকে জানান। আমি আপনাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই, সকল ত্রুটি-বিচ্যুতির বিরুদ্ধে আমার কঠিনতম অবস্থান বজায় থাকবে।
অনুষ্ঠানে ফজলে নূর তাপস বলেন, সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ আমরা ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের ১০টি জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করছি। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম প্রতিটি ওয়ার্ডে বছরব্যাপী পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা মশার প্রজনন এবং বিস্তার রোধ করতে করব।
মেয়র তাপস এ সময় জানান, নতুন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে আমরা ডিএসসিসর প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড এবং ফগিং কার্যক্রম শুরু করেছি। ৮ জন মশক শ্রমিক সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বিকেল আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ জন শ্রমিক ফগিং কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। আমাদের স্থানীয় কাউন্সিলরগণ এই কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে পুরো কার্যক্রম তদারকি করছেন।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, আগামী রোববার থেকে আমরা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করব। এই কার্যক্রম পরবর্তী সময়ে আমরা মাছ চাষ বিশেষত তেলাপিয়া মাছ এবং জলাশয়গুলোতে হাঁস অবমুক্ত করব। যাতে করে সে সকল জলাশয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পানির প্রবাহ নিয়মিত থাকে।
বটতলা ঝিলের পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধনের পর তিনি সেখানে মাছ অবমুক্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি রমনা পার্কে আলাদা আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং সেখানেও তিনি দুর্নীতি এবং অবহেলার বিরুদ্ধে আবারও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। পরে মেয়র রমনা পার্কে হাঁস অবমুক্ত করেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন ডিএসসিসি মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৫:৪২ ২০৭ বার পঠিত