
সাভারের আশুলিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১৩) সাত দিন আটকে রেখে নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ভোরে আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ঢাকার আশুলিয়া শুটিংবাড়ি এলাকার গেল্লা মিয়ার ছেলে কাজল (২৬) ও কাজলের চাচা শ্বশুর পাবনার সুজানগর থানার হিমেল (২২)। এ ছাড়া নিপীড়নের সহযোগী ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার মাসুদ (২১) পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়ি থেকে দুই মাস আগে আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকায় গার্মেন্টকর্মী মায়ের কাছে বেড়াতে আসে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই শিশু শিক্ষার্থী।
গত ৬ জুন সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কারখানায় কাজে যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী মাসুদের সহায়তায় অভিযুক্ত কাজল কৌশলে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে টানা সাত দিন নিপীড়ন করে।
গত ১৩ জুন রাতে অভিযুক্ত কাজলের চাচা শ্বশুর হিমেল নামে আরেকজন ওই শিশুকে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই এলাকার অন্য একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে হিমেলও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটির মা অভিযুক্ত কাজলের স্ত্রীর মাধ্যমে মেয়েকে আটকে রাখার বিষয়টি জানতে পেরে তার বাসায় যান। এ সময় মাকেও মারধর করে তাড়িয়ে দেয় কাজল।
পরে ওই শিশুটি হিমেলের কবল থেকে কৌশলে বাসায় ফিরে তার মায়ের কাছে ধর্ষণের বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কাজল ও তার চাচা শ্বশুর হিমেলকে আটক করে।
আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপ জানান, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে ওই শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৫:২১ ১২৪ বার পঠিত