
করোনা সংক্রমণ রুখতে এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, সদর, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলাকে ‘রেড জোন’ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। হটস্পট খ্যাত জেলা নারায়ণগঞ্জে এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের হার বিবেচনায় কোন অঞ্চলে কতটুকু লকডাউন হবে; তা চিহ্নিত করার কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ‘এ নিয়ে আরও বিস্তর আলোচনা করতে হবে, এরপর আসবে সিদ্ধান্ত’। এদিকে, ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এলাকাগুলোর লকডাউনের সীমানা নির্ধারণ সম্ভব না হওয়ায় নগরে রয়েছে উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ। গতকাল বুধবার দুপুরে ‘রেড জোন’ এলাকায় লকডাউন চিহ্নিতের ব্যাপারে আলোচনা সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সরকারের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে রেড জোন প্রতিটি উপজেলাতেই আছে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন লকডাউন করা সম্ভব হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে জনসংখ্যার যে তথ্য রয়েছে, সেটা ২০১১ সালের। তখন নারায়ণগঞ্জের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ লাখ। গত ৯ বছরে দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ ও বাণিজ্যিক জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা জেলার মানুষের বসবাস বেড়েছে। সব মিলিয়ে এ জেলায় জনবসতির সংখ্যা ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১ কোটির মতো। প্রশাসনের কাছে জনসংখ্যার সঠিক তথ্য না থাকায় লকডাউন এলাকা নির্ধারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’ তবে, আশার কথা হচ্ছে সিটি করপোরেশন ২-১ দিনের মধ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক সঠিক জনসংখ্যার একটি তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগকে দিবে। এরপর এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের হার বিবেচনায় কোনো অঞ্চলে কতটুকু লকডাউন হবে সে ব্যাপারে চিহ্নিত করা হবে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের হার বিবেচনায় কোন অঞ্চলে কতটুকু লকডাউন হবে; এ নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটির আলোচনা হয়েছে ঠিকই। তবে, কোন ধরণের সিদ্ধান্ত আসেনি। এ নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:২৫ ১০৩ বার পঠিত