
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পবিত্র হজ বাতিলের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণ করতে আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় (অনলাইন) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম।
সভায় ধর্ম সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টিার টেলিফোনে ২০২০ সালের হজ এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এ সময় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশ, সৌদি আরব এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি জানান, সার্বিক বিবেচনায় এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রী প্রেরণ করা যাবে না।
সভায় জানানো হয় সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং সৌদি আরবের নাগরিকদের অংশগ্রহণে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০২০ সালের জন্য যাদের প্রাক-নিবন্ধনের মেয়াদ বৈধ ছিল তা ২০২১ সালের জন্য বলবৎ থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যস্থাপনার যেসব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি ২০২০ সালের হজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তাঁদের নিবন্ধন ২০২১ সালের জন্য বৈধ থাকবে। নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমাকৃত টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজ মূল্যের সাথে সমন্বয় করা হবে।
নিবন্ধন বাতিলকারী হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোন প্রকার কর্তন ব্যতিত ফেরৎ প্রদান করা হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের অর্থ সরাসরি হজযাত্রীর একাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। কোন হজযাত্রীর ব্যাংক হিসাব না থাকলে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী চেক/পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি ব্যাংক থেকে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ পূর্বের ন্যায় পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা থেকে হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি তাঁর ব্যাংক হিসাবে চেক এর মাধ্যমে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ফেরৎ প্রদান করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত কোন হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করে টাকা ফেরত চাইলে তা অনলাইনে অথবা হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী ফেরৎ প্রদান করার জন্য আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অনুরূপ একটি নিবন্ধন বাতিল প্রক্রিয়া (Software) প্রস্তুত করে ই-হজ সিস্টেমে সংযুক্ত করা হবে। নিবন্ধন বাতিলে ইচ্ছুক হজযাত্রীগণকে স্ব স্ব নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে হবে। ১৩ জুলাই থেকে নিবন্ধনে বাতিলে ইচ্ছুক হজযাত্রীগণ আবেদন করতে পারবেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হজ এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনলাইন সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি., ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, কাউন্সেলর (হজ), জেদ্দা, পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক লি., প্রিমিয়ার ব্যাংক লি., হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (হাব) এবং বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড এর প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৬:১৪ ৯৬ বার পঠিত