
আবারও ই-ফাইলিং- এ সেরা হয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। পরপর পাঁচবার প্রথম স্থানে অনড় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জুন মাসের কার্যক্রমের প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) এ তথ্য প্রকাশ করে।
ফলাফলে গত ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ২৪ হাজার ৫ শত ৫ টি ডাক নিষ্পন্নর মাধ্যমে প্রথম স্থান অর্জন করে। একই সঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে স্ব উদ্যোগে সৃজিত নোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৩ শত টি, ডাক থেকে সৃজিত নোট ৩ হাজার ৮ শত ৫৩ টি, মোট পত্রজারী ৩ হাজার ৫ শত ৮৫ টি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম স্থান অর্জন করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। এরপর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশের সেরা ২৫ টি জেলার মধ্যে ফরিদপুর প্রথম স্থানে অনড় অবস্থানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।
সূত্র জানায়, করোনা দুর্যোগ এবং সরকারি সাধারণ ছুটির মধ্যেও জনসেবা অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সেবায় সতর্ক দৃষ্টি, কর্মহীন ও দুস্থদের জরুরি ত্রাণ তৎপরতাসহ নানা ক্ষেত্রে জনসেবা অব্যাহত রাখার সাথে সাথে ইলেকট্রনিক ফাইলিং (ই ফাইলিং) এর কার্যক্রম অব্যহত রাখা হয়। দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ই ফাইলিং এ ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলা ২৫ টি। এই ২৫ টি জেলার মধ্যে গত ৫ মাসের মত এবারে জুন মাসের ফলাফলেও প্রথম স্থানে অনড় থাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কার্যালয়টির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, স্যার আমাদের টিম লিডার। তার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনার আলোকে আমরা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত বছরের মাঝামাঝি থেকে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করি। সকলের মিলিত কর্ম প্রচেষ্টায় আমরা পরপর পাঁচবার প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি।
তারা জানান, গত বছরের ২৩ জুন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন অতুল সরকার। প্রথম থেকেই তিনি জনসেবার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত ই ফাইলিং কার্যক্রম আমরা সানন্দে গ্রহণ করি। এই পদ্ধতিতে কাজ গতানুগতিক কাজের চেয়ে সুবিধাজনক। বন্ধের দিনে বা রাতেও বাসায় বসে কাজ করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৬:৩৪ ১৭১ বার পঠিত