
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে রাজবাড়ীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দি এসব মানুষ এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। একই সঙ্গে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কটও আছে বন্যা কবলিত এলাকায়। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তাঘাট। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর রয়েছে পদ্মার পানি।
রোববার (১৯ জুলাই) সকালে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. ইউছুফ আলী খান এ তথ্য জানান। পানি বৃদ্ধিতে রাজবাড়ী জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
একই সঙ্গে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টের মধ্যে তিনটি পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকাসহ ফসলি জমি, সবজি ক্ষেত ও মাছের ঘেরসহ রাস্তাঘাট।
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ৩/৪দিনে রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলার দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করেছে। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে এসব পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, বাহাদুরপর, কালুখালীর কালিকাপুর, রতনদিয়া, সদরের মিজানপুর, বরাট ও গোয়ালন্দের ছোট ভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি। একই সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট। নষ্ট হয়েছে বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি ক্ষেত।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করেছে। তবে ত্রাণের অপ্রতুলতার কথা বলছে এসব পরিবার।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিলসাদ বেগম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। একবারে তো সবাইকে ত্রাণ দেয়া সম্ভব নয়, পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:২৬ ১৪৪ বার পঠিত