
তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে ফরিদপুরের মধুমতীর নদীর আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান জানান, এবারের বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামজুড়ে মধুমতী নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ তাদের ভূসম্পত্তি হারাচ্ছে। সরকারি ভাবে বালুরবস্তা ফেলা হচ্ছে তবে তা খুব একটা কাজে আসছে না।
তিনি জানান, স্থায়ীবাঁধ দেয়া ছাড়া ভাঙন রোধ করা যাবে না।
এদিকে, ফরিদপুরের পদ্মার পানি ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে ভেঙে যাওয়া আলিয়াবাদ ইউনিয়নের শহর রক্ষা বাঁধ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেরামত করে চরভদ্রসন ও সদরপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার্ত এলাকার মানুষগুলো তাদের গবাদিপশু নিয়ে বেড়িবাঁধসহ উঁচু স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় ২শ’ গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছ। লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির মুখে রয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার এই পানিবন্দি মানুষগুলোর জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে ২শ’ মেট্রিকটন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ফরিদপুরের গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রশাসন এবং জনগণের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড আলিয়াবাদ ইউনিয়নের শহর রক্ষাবাঁধ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০১:২৫ ১০২ বার পঠিত