নিউজ২নারায়ণগঞ্জ : শনিবার (৩১ মার্চ) ফতুল্লায় ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে (উইজডম এটায়ার্স) এসেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এমপির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সভায় সেলিম ওসমানের স্বাক্ষর করা দাওয়াতপত্র পেয়ে জেলার ৫শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু সেখানে দেখা যায়নি এরশাদের পালিত মেয়ে খ্যাত জাতীয় মাহলা পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অনন্যা হোসাইন মৌসুমী, আড়াইহাজারে এরশাদ ঘোষিত দলীয় প্রার্থী আলমগীর শিকদার লোটন। এনিয়ে রবিবার (১এপ্রিল) আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন মৌসুমী। পুরানো দিনের স্মৃতি মনে করে হতাশাও প্রকাশ করেন। উপনির্বাচনে সেলিম ওসমানকে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে নিজের পরিশ্রমের কথাও স্ট্যাটাসে বর্ননা করেন। প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের পরিবারের প্রতি অবহেলা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মৌসূমীর আবেগঘন সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো। যার স্কিন কপি লাইভ নারায়ণগঞ্জে সংরক্ষিত আছে। ‘
‘অনেকে আমাকে লাইক করেনা, তাতে আমার কিছুই আসে না,সত্য ত সত্যই। নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি আজ আর নেই। হবে কি করে,জীবনে যারা সপ্নে দেখেনি এম,পি হবে তারা হয়েছে খয়রাতী এম,পি। আমি ত আমাকে নিয়ে বেশী ভাবিনা।গতকাল এরশাদ সাহেব গিয়েছিল নারায়ণগঞ্জ, আমি দাওয়াত পাইনি প্রতিহিংসার কারনে,লোটন ভাই কেও যে এত ভয় পায় রাজনীতিগত ভাবে এটা যানা ছিলোনা।আজ কিছু কথা বলতে চাই,নাসিম সাব যখন মারা যায়, এম,পি নমিনেশন পাই গুলাম মসিহ্।আমি স্যার কে সেই দিন একা বুঝিয়েছিলাম।সব রেডী করে শামীম ওসমান সাব কে ফোন করে বলি নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলার সব নেতাদের পাঠান নমিনেশন পেপার কিনতে।শামীম সাহেব এর আগে আমাকে ফোন করে অনেক রিকোয়েস্ট করে আমাকে,তাদের ইজ্জত বলে কথা।স্যার তাদের কোন প্রকার ই নমিনেশন দিবেনা, কারন সেভেন মার্ডাও এর সাথে বদনাম এর কারনে। যাই হক নিজাম ভাই এর মাধ্যমে শামীম ওসমান সাহেব আমার বাসার নিচে আসবেন আমাকে নিয়ে যাবেন এরশাদ সাহেবের কাছে, আমি বল্লাম না আপনি জাতীয় পার্টি অফিস যান, আমি আপনাকে নিয়ে যাবো স্যার এর ওখানে। যেই কথা সেই কাজ। সেলিম ওসমানের নমিনেশন টা কিনতু আমি একা যুদ্ধ করে নিয়ে দেই। স্যার কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। সেটা নারায়ণগঞ্জ এর সবাই যানে শামীম ওসমান নিজেও যানেন। যানিনা শিকার করবেন কিনা। জাহের ভাইকে সেদিন আমিই আসতে বলেছিলাম। সবার কথা গুলো আমার আজও রেকর্ড করা আছে। কারন ওরা বড় মানুষ বিপদে ওরা পায়েও পরে,আবার বিপদ শেষ হলে ওরা ঘার মটকাতেও পারে। যেই দিন থেকে সেলিম ওসমান এম,পি হলেন সেই দিন থেকে আমাকে চিনেননা। জাতীয় পার্টির কোন দাওয়াত পাইনা।কারন টাও আমি যানি। আমি ত আমার কিছু কথা বললাম।১/১১ তে শামীম ওসমানের শাশুড়ি আমাকে রিকোয়েস্ট করে তার গরুর খামার বাড়ী দখল করেছে রোডস এবং রেব, তাদের সেই বাড়ীতে ডুকতে পারছিলোনা। সেই কি যে কান্না, আর কষ্ট। সেই দিনও আমি সেই বাড়ী উদ্ধার করে দেই কর্নেল সামস কে রিকোয়েস্ট করে। আজ লিপি আপার মা, বাবা, ফুফাত ভাই আয়ুব খান ভাই সাক্ষী।কারন আমি বিনা লাভে ঐ সব কাজ গুলো করেছিলাম। যাই হক মানুষের ওপকার করাটা আমার অভ্যাস। আজ এত কথা বলতাম না, কথা গুলো বলছি নাসিম ওসমান এর পরিবার আজ কোথায় ? কেনো পারভীন ওসমান, নাসিম ওসমানের ওয়াইফ দাওয়াত পায়না ? আমি বলবো স্যার এবং মহাসচিব কে যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কে দরে রেখেছে তার পরিবারবর্গ কে সম্মান করুক। যে নিজের ভাই এর পরিবার কে সম্মান করেনা সে কখনও জাতীয় পার্টির সম্মান করবে না। সত্য কথা আমি বলতে কাউ কে ভয় পাই না।ওনাদের পয়সা আছে, আর ইগু আছে, প্রতিহিংসা আছে। আবার আল্লাহ্ চাইলে সব শেষও হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৪:২২ ৯৮৬ বার পঠিত