প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষার জন্য বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যা খুব শিগ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।’
শুক্রবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলমান বাঁধ নির্মাণ কাজ এবং নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষার জন্য বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সমীক্ষা চলছে। সমীক্ষা শেষ হলে বাঁধের উচ্চতা ১৮ ফুট করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধের উচ্চতা ১২ ফুট। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তাই সমীক্ষার আলোকে আগামীতে ১৮ ফুট উঁচু করে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
ভোলায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রকল্প চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোলা শহরকে রক্ষার জন্য ইলিশা এলাকার ৩৪০ কোটি টাকার ব্লকবাঁধের কাজ চলছে। এছাড়া শিবপুর এলাকায় আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভোলা শহরকে রক্ষা করা যাবে।’
মন্ত্রী জানান, বাঁধের কাজের কিছু ভুল ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলো সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশনের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাঁধ পরিদর্শণ করেছেন প্রতিমিন্ত্রী।
এসময় ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১১:৩২ ৮৫ বার পঠিত
