জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ২০ দিন পর সেপটি ট্যাংক থেকে আমানুল্লাহ (১৪) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে দাখিল হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর মেলান্দহ থানায় উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ আমানুল্লাহকে হত্যা করে সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। নিহত আমানুল্লাহ মাদারগঞ্জের ভেলামারী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দাখিল হোসেন থানায় এ কথা বলেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল করিম খান রাতেই দাখিল হোসনকে সঙ্গে নিয়ে আমানুল্লাহ মামার বাড়ির পার্শ্বে মসজিদের সেপটি ট্যাংক থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল করিম খান জানান, আমানুল্লাহ মেলান্দহের সরুলিয়ায় তার মামার বাড়িতে গেল ১৫ আগস্ট বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়। নিহত আমানুল্লাহ মামার বাড়ির এসে সমবয়সীদের সাথে খেলায় অংশ নেয়। খেলায় গিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা দাখিল (১৫) নামে এক কিশোরের সাথে ঝগড়া বাঁধে তার। এক পর্যায়ে আমানুল্লাকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেয় দাখিল। পরে ঘটনার ২০ দিন পর হত্যাকারী দাখিল নিজেই মেলান্দহ থানায় হাজির হয়ে খুনের ঘটনা জানায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকারী দাখিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪০:২১   ১০৮ বার পঠিত